সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪১ অপরাহ্ন

কাঠালিয়ায় ডা. তাপসের ভুল চিকিৎসায় মাহিনুর এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে

কাঠালিয়ায় ডা. তাপসের ভুল চিকিৎসায় মাহিনুর এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

ডাক্তার তাপশের ভুল চিকিৎসায় মাহিনুর এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে অতি সম্প্রতি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজার করতে গিয়ে মাহিনুর নামে এ রোগীর জরায়ু কেটে ফেলেন ডাক্তার তাপশ কুমার তালুকদার।  মাহিনুর বর্তমানে ঢাকার পি জি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মাহিনুর বেগম ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের মৃত শাহজাহানের মেয়ে । গতকাল ২ জানুয়ারী রোববার
মাহিনুরের মা রুনু বেগম সাংবাদিকদের কাছে ভুল চিকিৎসার বর্ণনা দেন এবং ডাক্তার তাপশের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।

স্বজনরা জানান, মাহিনুরের প্রসব জনিত ব্যথা দেখা দিলে কাঠালিয়া উপজেলা হাসপাতাল (আমুয়া) নেয়া হলে সেখানকার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপশ কুমার তালুকদার রোগীকে পাশ্ববতী  অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার জন্য পরামার্শ দেন। ঐ ক্লিনিকে ডাক্তার সাহেব নিজেই রোগীর পরিক্ষা-নিরীক্ষার পর সিজার করার সিদ্ধান্ত নেন। সিজার করতে গিয়ে ভুলবশত মাহিনুরের জরায়ু কেটে ফেলেন। রোগী অতিরিক্ত রক্তক্ষরন দেখা দিলে ডা. তাপশ ক্লিনিক থেকে তার নাম কেটে দিয়ে অন্যত্র চিকিৎসা নেওয়ার পরামার্শ দেন। মাহিনুরের শারীরীক অবস্থার অবনতি হলে বেতাগী উপজেলায় হাসপাতলে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা রোগীর অবস্থা আশাঙ্কাজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পি জি হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

মাহিনুরের মা রুনু বেগম জানান, “ডা. তাপস কুমার তালুকদার সিজার করার জন্য আমাদের কাছে ৩৬ হাজার টাকা নিয়েছে। সিজারের পূর্বে ডাক্তার সাহেব বলেছিলেন ১৬ হাজার টাকা লাগবে। ভুল চিকিৎসা করে জরায়ু কেটে ফেলায় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারনে ৩৬ হাজার টাকা দাবি করেন। আমরা ৩৬ হাজার টাকাই পরিশোধ করেছি। কাঠালিয়া ব্লাড ব্যাংকের পরিচালক তুহিন সিকদারের মাধ্যমে ১১ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করেছি, সবমিলিয়ে ঐদিন আমার মেয়েকে ১৭ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছিলো। আমার মেয়ে এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিখনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে রয়েছেন। আমাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, তাই মামলা করতে পারিনী। আমরা গরীব এ জন্য মামলা করতে সাহস পাইনি। আমি ডাক্তার তাপশের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও ন্যায় বিচারের দাবি করছি”।

অভিযোগ রয়েছে, নিজ উপজেলায় কর্মস্থল হওয়ায় ডাক্তার তাপশ কাউকে তোয়াক্কা করছেন না। সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের সেবা ফাঁকি দিয়ে সরকারের দেওয়া গাড়ি হাকিয়ে প্রাইভেটঁ ক্লিনিকে রোগী দেখা এবং ব্যক্তিগত কাজে গাড়ী ব্যবহার করছেন, রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার করা, হাসপাতালে বসে রোগী দেখে ভিজিট নেয়া। সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করা, হাসপাতাল ভবন নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন রাখা। ইনজুরি
সার্টিফিকেট দিয়ে মোট অংকের টাকা নেয়াসহ পাহাড় সমান অভিযোগ রয়েছে ডা. তাপস কুমার তালুকদারের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ডা. তাপস কুমারের সাথে একাধিকবার ফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। মতামত নেয়ার জন্য হাসপাতালে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

কাঠালিয়া বার্তা’য় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : মোবাইলঃ 01774937755 অথবা ই-মেইল: kathaliabarta.com












All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana