শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ অপরাহ্ন
সাকিবুজ্জামান সবুর:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা সদরের প্রধান ডাকঘর ভবনটি বেহাল দশা। ফলে সেবা গ্রহিতা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই জরার্জীর্ণ পাঁকা ভবনের ছাদ ও দেয়াল চুইয়ে পড়ে পানি। পানিতে ভিজে পোস্ট মাস্টারকে দাপ্তরিক কাজ করতে হচ্ছে। বেশি বৃষ্টির হলে পলি দিয়ে ডেকে রাখতে হয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। এতে সেবা গ্রহিতারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, বৃটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত ডাক ঘরের ভবনটি ১৯৯২ সনে পাকা করা হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্মমানের মালামাল দিয়ে কাজ করায় কয়েক বছর যেতে না যেতেই ছাদ ও দেয়াল চুইয়ে পানি পড়তে শুরু করে। এর মধ্যে একবার দায়সারা মেরামতের কাজ করলেও তা কোন কাজে আসেনি। ভবনটি এখন জড়াজীর্ণ হয়ে গেছে। ডিজিটাল যুগে ডাকঘরের প্রয়োজন কমে গেলেও সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা, পোষ্টাল অর্ডার, রেভিনিউ ষ্টাম্প ও ম্যারেজ রেজিস্ট্রার কাজী অফিসের চিঠিপত্র এখনও ডাক বিভাগের মাধ্যমেই আনা-নেয়া হয়। তাই ডাক বিভাগ প্রতিদিনই সচল থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ভবনের ছাদ ও দেয়াল চুইয়ে পানি পড়ে। বিমের পলেস্তরা খসে পড়ে রড বের হয়ে গেছে। মেঝসহ পুরো ভবনটি পানিতে ভিজে আছে। পোষ্ট মাস্টার পানির মধ্যে বসে দাপ্তরিক কাজ করছেন। ছাদ চুইয়ে পানি পরে পোস্ট মাস্টারের মাথা এবং টেবিলে রাখা মূল্যবান কাগজপত্র ভিজে যাচ্ছে। ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। পানিতে ভিজে চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে অনেক আগেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন : শোক বার্তা : কাঠালিয়ায় সাংবাদিকের পিতৃ বিয়োগ
সেবা গ্রহিতা কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মো. মুজাহিদুল ইসলাম আসলাম জানান, চিঠি পাঠাতে নিয়মিত যেতে হয় পোষ্ট অফিসে। বৃষ্টির সময় ভবনের সামনে রাস্তায় হাটু সমান পানি থাকে। ভিতরে ও বৃস্টির পানিতে ভেজা থাকে। ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী। দ্রæত সংস্কার করা দরকার।
উপজেলা পোষ্ট মাষ্টার মো. ফোরকান আহম্মেদ জানান, ইতিমধ্যে জরাজীর্ণ পোষ্ট অফিস ভবনটি টেন্ডার হয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে ডাক বিভাগের প্রকল্প পরিচালক গোলাম মোস্তফা ৬ মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার জন্য চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু কন্ট্রাকটার কাজ করছে না। নুতন ভবন করার জন্য পুরাতন এ জরাজীর্ণ পোষ্ট অফিস ভবনটি বিক্রিও হয়ে গেছে। কন্ট্রাকটার কাজ না করায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ ভবনেই কাজ করছি।
ডাক বিভাগের আঞ্চলিক পরিদর্শক (পিরোজপুর-মঠবাড়ীয়া) মো. মোশারফ হোসেন জানান, ডাক বিভাগের অধীনস্থ জরাজীর্ণ ডাকঘর সমুহ সংস্কার / পুনবার্সন প্রকল্পের আওতায় এ ডাকঘরটি পুনঃনির্মানের টেন্ডার হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।