বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (আমুয়া) সিনিয়র নার্স ল²ী রানী সরকার এর নার্স ডরমেটরীতে (বাসায়) হামলার অভিযোগ পাওয়াগেছে। হামলায় নার্স ল²ীর কলেজ পড়–য়া মেয়ে আহত হয়। ল²ী রানী সরকার ও তার পরিবার নিরাপত্তার জন্য জরুরী পরিসেবা ৯৯৯ কল করে সাহায্য চাইলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫টায় এ ঘটনা ঘটে। নার্সের বাসায় হামলা, ভাংচুর, ইট পাটকেল ও প্রকাশ্যে অকথ্য গালমন্দের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে ছড়িয়ে পড়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স ল²ী রানী সরকার জানান, শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে নার্স ডরমেটরীর ২য় তলায় আমার বাসায় সহকর্মী নার্স রাজিয়া খানম এর স্বামী মো. সহিদুল আলম শাবু সিকদার ও তার দুই বখাটে ছেলে পিয়াল এবং পিয়াস হামলা চালায়। তারা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে রুমের জানালা ও গøাস ভাংচুর করে এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে জীবন নাশের হুমকী দেয়। ইট পাটকেল নিক্ষেপে আমার কলেজ পড়–য়া মেয়ে আহত হয়। বিষয়টি আমি তাৎক্ষনিক টিএইচ স্যারকে (তাপস কুমার তালুকদার) জানানোর জন্য একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে আরএমও স্যারকে জানালে সে ঘটনাস্থলে আসেন এবং দেখে যান। সহকর্মী নার্স রাজিয়ার স্বামী মো. সহিদুল আলম শাবু সিকদার স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য বিষয়টি ইউএনও স্যার ও সিভিল সার্জন স্যারকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান এই সিনিয়র নার্স। এরআগে একাধিকবার আমার নবম শ্রেণি পড়–য়া শাওনকে মিথ্যা অপবাদে জড়ানোর চেষ্টা করেছে রাজিয়া ও তার পরিবার।
নার্স রাজিয়া খানমের স্বামী (হামলকারী) মো. সহিদুল আলম শাবু সিকদার জানান, নার্স ল²ী রানীর কোয়াটারের পিছনেই আমার বাড়ির প্রবেশ পথ। শনিবার দুপুরে বাড়ির প্রবেশ পথে মরা একটি খরগস, মুরগী ও কবুতর ফেলে রাখে লক্ষ¥ী রানী। বিকালে তার কোয়াটারের সামনে গিয়ে এগুলো রাস্তার মাঝে কেন রাখা হয়েছে জানতে চাইলে ল²ী রানী আজে বাজে কথা বলে। তবে নার্স লক্ষ¥ী রানী মৃত খরগোস ও মুরগী-কবুতর রাস্তায় ফেলে রাখার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বলেন, নার্স ল²ী রানী ও রাজিয়া খানম সহকর্মী। এই দুই নার্সের মধ্যে পারিবারিকভাবে দন্ধ চলে আসছিল। এর জের ধরে শনিবার যে ঘটনাটি ঘটেছে তারা মিমাংশার উদ্যোগ নিচ্ছে। তারপরেও সঠিক তদন্তের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ সিদ্বান্ত নিবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার তালুকদার বলেন, এ ঘটনা তদন্তে উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. উৎসাশ আহম্মেদকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামি সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
কাঠালিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী বলেন, জরুরী পরিসেবা ৯৯৯ থেকে একটি কল আসছিলো, “যে আমুয়া হাসপাতালে সিনিয়র নার্সের বাসায় স্থানীয় লোকজন হামলা করছে।” পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ অফিসার গিয়ে সে রকমের কোন কিছু পায়নি।