শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার ৮৯নং উত্তর বাঁশবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহারুম মিয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগের তদন্ত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দিনবর চলে এ তদন্ত। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপপরিচাল প্রাথমিক শিক্ষা বরিশাল বরাবরে অর্থ আত্মসাৎতের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর চাচা জাহাঙ্গির হোসেন মনজু। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্তের সময় অভিযোগকারি ও সাক্ষীরা উপস্থিত থাকলেও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো.সাহারুম মিয়া ছিলেন অনুপস্থিত।
অভিযোগকারিসহ ৫জন সাক্ষীসহ তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে পেশ করেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. সাহারুম মিয়া ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নের দক্ষিন চেঁচরী গ্রামের মৃত্যু আবদুর রশীদ হাওলাদারের ছেলে ও ৭৯নং উত্তর বাঁশবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চেঁচরী গ্রামের বাসিন্ধা মো. জাহাঙ্গির হোসেন মনজুর ছোট ভাইর ছেলে ইমরান হোসেন রিমনকে তার স্কুলে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে তিন বছর পুর্বে চার লক্ষ টাকা নেয় প্রধান শিক্ষক সাহারুম মিয়া। চাকুরি দিতে না পারায় টাকা ফেরত চায় ইমরান। এরপর থেকে ইমরানের সাথে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সাহারুম মিয়া। পরে ইমরান হোসেন উপজেলা শিক্ষা অফিসে খবর নিয়ে জানতে পারেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর নামে কোন পদ নেই। এছাড়া শিক্ষক ছাড়া অন্য পদেও নিয়োগ বন্ধ। টাকা নেওয়ার পর থেকে সাহারুম মাস্টার উধাও। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং টাকাও ফেরত পাচ্ছেনা।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মো.সোলায়মান হোসেন জানান, সাহারুম মিয়ার অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে তাকে শৌলজালিয়া ইউনিয়নের চক রঘুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়। সেখানেও যোগদান করেনি প্রধান শিক্ষক। নৈমত্তিক ছুটির আবেদন করেন তিনি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.আমিনুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক সাহারুম মিয়ার বিরুদ্ধে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়া, নিলাম না হওয়া সত্বেও সরকারি ভবন বিক্রি করা, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করা, বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে সুদে টাকা এনে তা ফেরত না দেওয়া, অন্যের স্ত্রীকে ফুসলিয়ে বিয়ে করা, স্কুলে না গিয়েও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করা ও শিক্ষা অফিসারের সাথে খারাপ আচারণসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।