রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন

কাঠালিয়ায় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ্য বাঁধ পরিদর্শন করেন ইউএনও নেছার উদ্দিন

কাঠালিয়ায় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ্য বাঁধ পরিদর্শন করেন ইউএনও নেছার উদ্দিন

কাঠালিয়ায় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ্য বাঁধ পরিদর্শন করেন ইউএনও নেছার উদ্দিন

বিশেষ প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় ঘুর্নিঝড় রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ্য বাঁধ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.নেছার উদ্দিন। তিনি গত ২৮ মে (মঙ্গলবার) সকালে উপজেলা সদর লঞ্চঘাটসহ বিষখালী নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ্য বাঁধ পরিদর্শন করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভুমি) সঞ্জয় দাস, উপজেলা সমাজ সেব অফিসার এসএম দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো.আহম্মেদুর রহমানসহ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বাঁধ ভেঙ্গে ৫-৭ ফুট জলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়। এতে বাড়ী ঘর রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। পানির তোরে গাছপালা উপরে ঘর বাড়ী বিদ্যুতের পুল বিধ্বস্ত হয়, রাস্তাঘাট আটকে যায়। এবং পুরো উপজেলা বিদুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। ওইদিন উপজেলার ১৫ গ্রামের মানুষের ঘরে দুপুরে এবং রাতে রান্না হয়নি। অনেকে অনাহারে অর্ধাহারে কেউ বা শুকনো খাবার চেয়ে জীবন রক্ষা করেছে।
উপজেলার আমুয়া বন্দর থেকে জাঙ্গালিয়া পর্যন্ত ৩১ কিলেমিটর বিষখালী নদীতে টেকসই বেরিবাঁধ না থাকায় নদী তীরবর্তি ১৩ টি গ্রামের মানুষ সারা বছরই অরক্ষিত থাকে। গ্রাম গুলো হচ্ছে আমুয়া, হেতালবুনিয়া, মশাবুনিয়া, চিংড়াখালী, জয়খালী, কাঠালিয়া সদর, বড় কাঠালিয়া, কচুয়া, শৌলজালিয়া, রঘুয়ারচর, তালগাছিয়া, আওরাবুনিয়া ও জাঙ্গালিয়া।
এ উপজেলার বিভিন্নস্থান ঘুরে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, বেড়িবাঁধ না থাকায় সিডরে এ উপজেলায় ২১ জনের প্রানহানি ঘটেছিল। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ঘূর্ণিঝড় আইলা, ইয়াস সর্বশেষ রেমেল আঘাতহানে এখানে। ঝড়ে জাকির হোসেন (৫০) নামের এক প্রতিবন্ধি গাছ চাপায় মারা যান।

স্থানীয় মিরন মিয়া বলেন, বইন্যার (সিডর) সময় গলা পর্যন্ত পানিতে মোগো ঘর দরজা গরু-বাছুর সব ভাসাইয়্যা লইয়্যা গ্যাছে। ইয়াসের সময় মোগো বাড়ী ঘরে পানিতে তলাইয়া গ্যালহে। বইন্যা রেমেলে সব চাইয়া বেশি ক্ষতি অইছে। গাছপালা ঘর বাড়ী রাস্তা ঘাট কারেন্ট সবশেষ এমন বইন্যা মোর জীবনে দেহিনায়। চুলায় পানি ওঠছে রানতে না পারায়, দুই দিন চিড়া মুড়ি খাইয়া রইছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান বিন ইসলাম বলেন, বাঁধ না থাকায়, রেমেলের আঘাতে উপজেলার ৩/৪ টি ইউনিয়নের হাজার হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আউশ, কলা, পেপে, পাট, শাকসবজী, মুগ, তিল পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে আউশ শতকারা ৯০ ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কৃষক এবং কৃষি অফিস কাজ শুরু করছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.নেছার উদ্দিন বলেন, ঘুর্নিঝড় রেমেলের আঘাতে বেরিবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। পানিতে উপজেলার অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়। গাছপালা ঘরবাড়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুতের খুটি বিধ্বস্ত হয়। বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ্যদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

তিনি আরো উপজেলাবাসির দীর্ঘ দিনের দাবি বিষখালী নদীতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের। বাঁধটি নির্মাণ করে উপকুলের মানুষকে নিরাপদে রাখার জন্য চেষ্টা চলছে।

 

 

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

সম্পাদকীয় কার্যালয়: কাঠালিয়া বার্তা
কলেজ রোড, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি।
মোবাইল: 01774 937755









Archive Calendar

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  




All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana