বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫২ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলোচিত ও সমালোচিত নেতা ব্যরিষ্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে আদালতে আনা হয় ওমরকে। এদিন প্রিজন ভ্যান থেকে নেমেই শাহজাহান ওমর গনমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে বললেন, “সেদিন যারা ডিম ও জুতা নিয়ে আসছিলো, আজ সেই দুষ্টু লোকেরা কোথায়? এরআগে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া থানার একটি মামলায় তিনি ঝালকাঠি কারাগারে রয়েছেন।
শাহজাহান ওমরকে আদালতে তোলা হলে তার জামিন আবেদন জানান ওমরের আইনজীবী নাসির উদ্দিন কবির এবং বনি আমিন বাকলাই। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রাসেল আহম্মেদ শাহজাহান ওমর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানসহ আওয়ামী লীগের ৫জন নেতার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে পুররায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই দিন রাজাপুর উপজেলা বিএনপি অফিসে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. তালুকদার আবুল কালাম আজাদের দায়ের করা জিআর ১২১ রাজাপুর থানার আরেকটি (মামলা নং-৫) মামলায় শাহজাহান ওমর, রাজাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান মনির, ইউপি সদস্য মো. রাসেল ও তাওহীদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলামকে দৃশ্যত গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক পুলক চন্দ্র রায়।
গত ২১ নভেম্বর গ্রেফতারের পর তাকে আদালতে হাজির করার সময় বিক্ষুব্দ জনতা এবং বিএনপি ও যুবদলের নেতা কর্মীরা ওমরকে লক্ষকরে ডিম এবং জুতা নিক্ষেপ করেছিলো। আদালত চত্বরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবার কড়া নিরাপত্বা জোড়দার করা হয়। পুলিশ, র্যাব এবং সেনাবাহিনী তিন স্তরে ঘিরে রেখেছিলো ঝালকাঠির আদালত চত্বর ও এর আশপাশের এলাকা।
ব্যরিষ্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে কারাগারে নেওয়ার সময় গনমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে বললেন, রাজাপুরের যে বাড়িটা আগুন দিয়েছে বলে সেটা আমার নিজের সম্পত্তির উপর নির্মাণ করা বাড়ি। আমি ওদিন বাড়িতে ছিলাম নাহ। ৩০ তারিখে সন্ধ্যা আমি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করি এটা বিভিন্ন মিডিয়ায় রেকর্ড আছে। ঝালকাঠি ডিসি অফিসে রেকর্ড আছে। এটা মিথ্যা মামলা। আমার নিজের বাড়ি আমি আগুন দিবো এটা কোনদিন হয়।কারাগারে থাকা এটা কোন ঘটনা নাহ। আমি আবার সংসদ নির্বাচন করবো।
শাহজাহান ওমরের আইনজীবী নাসির উদ্দিন কবির বলেন, রাজাপুরের একটি বিস্ফোরক মামলায় পুলিশ ওমর ও মনিরুজ্জামানসহ ৫ জনের দৃশ্যত গ্রেফতারের দরখাস্ত করায় আদালত গ্রেফতার করে। ৫মে ওমর দেশের বাহিরে চিকিৎসার জন্য ছিলেন তিনি এই ঘটনায় জড়িত না। আমরা জামিন আবেদন করেছি আদালত নামঞ্জুর করেছেন।