শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিদুল হককে নিয়ে মধ্যরাতে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কোথায়ও আইসিইউ বেড ফাঁকা পাননি তারা।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মহিদুল হক।
রবিবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
কিন্তু কোথাও আইসিইউ বেড খালি পাচ্ছিলেন না তারা। এভাবে রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতেই বিনা চিকিৎসায় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে মারা যান মহিদুল হক।
চৌধুরী মহিদুল হকের ব্যাচমেট বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও আইডিআরএর সাবেক সদস্য নব গোপাল বণিক বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এক মহাব্যবস্থাপক জানান, মধ্যরাতে হঠাৎ তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে পরিবারের সদস্যরা মহিদুল হককে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে সিট খালি না পেয়ে যান আরেক হাসপাতাল। এভাবে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরছিলেন তারা। শেষে কোথাও ভর্তি করাতে না পেরে নিকেতন এলাকায় বাসার কাছে একটি ক্লিনিকে নিলে সেখান থেকে জানানো হয় তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রয়াত চৌধুরী মহিদুল হকের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সোমবার (৫ এপ্রিল) তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।