বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তী ভারী বর্ষণ ও পানির তোরে নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত দু’দিনে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে হলতা নদীর ভাঙ্গনে ও দেবে উপজেলার শত বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী ঘোষের হাট বাজারের ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিলীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- খোকনের মুদি দোকান, ডাক্তার গনেশ চন্দ্রের ফার্মেসী, আলমগীর জমাদ্দারের মুদি দোকান, গৌতমের মুদি দোকান, ফারুক মুন্সীর হোটেল, মোনাছেফ হাওলাদারের মুদি-কাঁচামাল, প্রিতমের সেলুন ও ছগিরের হোটেল। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. এমাদুল হক মনির ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত মুদি দোকানী খোকন দেবনাথ জানান, আমার মুদি দোকানসহ ছোট-বড় ৯টি দোকান হঠাৎ করে নদীতে তলিয়ে গেছে। সবকিছু হারিয়ে আমরা এখন সর্বশান্ত। এতে আমাদের অর্ধ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভ‚ক্তভোগীরা। বাজারের ভাঙন রোধকল্পে কমপক্ষে এক হাজার মিটার স্থায়ী বাঁধ (বøক পাইলিং) এর দ্রæত পদক্ষেপ নেয়া হলে বাজারসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রক্ষা পাবে।
আমুয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের (ঘোষের হাট) ইউপি সদস্য মো. সোনা মিয়া জানান, হলতা নদীর প্রচন্ড স্রোতে ঘোষের হাটের কিছু অংশ দেবে গিয়ে মুদি দোকান, সেলুন, হার্ডওয়ার, চায়ের দোকান ও টলসেটসহ ৮টি স্থাপনা পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে ব্যবসায়ীদের অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আমুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম ফোরকান জানান, অতি বর্ষণ ও পানির তোড়ে ঘোষের হাট বাজার সংলগ্ন হলতা নদীর ভাঙন প্রবল আকার ধারণ করলে বিভিন্ন ৯টি দোকান নদীতে তলিয়ে যায় এবং আরো ৫/৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া নদী ভাঙনের মুখে রয়েছে ঘোষের হাট বেগম চান মিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩৫নং ছোনাউটা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি স্থপনা।