বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যসেবার মানের র্যাংকিং বিভিন্ন সংস্থা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। এই র্যাংকিংগুলোতে ব্যবহৃত মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা সেবার সহজলভ্যতা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা, হাসপাতালের অবকাঠামো, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, ওষুধের প্রাপ্যতা ইত্যাদি।
২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে বিশ্বের ১০০টি দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার মানে বিশ্ব পরিসংখ্যান তাদের তথ্যে দাবি করেছে, স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে তাইওয়ান তারপরেই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, তৃতীয় স্থানে রয়েছে জাপান চতুর্থস্থানে ফ্রান্স ৫ম স্থানে নেদারল্যান্ড। সবশেষে রয়েছে ভেনেজুয়েলা।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। চিকিৎসা সূচকে ভারত রয়েছে ৪৫ নম্বরে অন্যদিকে পাকিস্তান ৬১ নম্বরে। চিকিৎসায় থাইল্যান্ড রয়েছে ৭ নম্বরে, চীন রয়েছে ৩৯ নম্বরে।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কের চিকিৎসা ব্যবস্থা ২৫ নম্বরে রয়েছে। সিঙ্গাপুর রয়েছে ২৭ নম্বরে। কানাডা ২৯ নম্বরে, সৌদি আরব ৫৪ নম্বরে। জার্মানি ২৩ নম্বরে। অস্ট্রেলিয়া ২৫ নম্বরে। যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে ৩৬ নম্বরে। যুক্তরাজ্য রয়েছে ১৬ নম্বরে।
চিকিৎসার এই মান নির্ধারণ করা হয়েছে, সেইসব দেশের চিকিৎসা সহজ লভ্যতা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা, হাসপাতালের সংখ্যা, চিকিৎসায় আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স, হাসপাতাল কর্মচারি ওষুধের পর্যাপ্ততা এসব বিচরে।
মুসলিম বিশ্বের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার মানে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলো হলো:
কাতার – ৪১তম
কুয়েত – ৪৪তম
সৌদি আরব – ৫২তম
তুরস্ক – ৬০তম
ইরান – ৬৬তম
এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৩তম।
যুক্তরাজ্য – ১৬তম
যুক্তরাষ্ট্র – ৩৬তম
চীন – ৩৯তম
সিঙ্গাপুর – ২৭তম
জার্মানি – ২৩তম
স্বাস্থ্যসেবার মানের দিক থেকে বাংলাদেশ এখনও উন্নয়নশীল অবস্থানে রয়েছে। তবে, বিভিন্ন র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তনশীল, যা সময়ের সাথে সাথে উন্নতি বা অবনতি হতে পারে। স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ভারতের স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূচকে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য তুলে ধরা হলো:
বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার মান ও সহজপ্রাপ্যতার দিক থেকে ভারতের অবস্থান ছিল ১৪৫তম। এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩৩তম, যা ভারত থেকে এগিয়ে ছিল। তবে ভারতের অবস্থান আগের বছরের তুলনায় ৯ ধাপ উন্নতি করেছিল ।
বিশ্বব্যাংকের সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা সূচকে ভারতের স্কোর ছিল ৬১। এই সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫১, যা ভারতের চেয়ে কম। এছাড়া, নেপালের স্কোর ছিল ৫৩, ভুটানের ৬২, শ্রীলঙ্কার ৬৭ এবং মালদ্বীপের ৬৯ ।
The Lancet-এর ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে ভারতের অবস্থান ১৪৫তম ছিল, যা বাংলাদেশের (১৩৩তম) চেয়ে পিছিয়ে। অন্যদিকে, বিশ্বব্যাংকের সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা সূচকে ভারতের স্কোর ৬১, যা বাংলাদেশের ৫১ স্কোরের চেয়ে বেশি। এই পার্থক্য সূচকগুলোর মানদণ্ড ও মূল্যায়ন পদ্ধতির ভিন্নতার কারণে হতে পারে।