রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
একজন সাবরেজিস্ট্রার দিয়ে চলছে ঝালকাঠির চার উপজেলার সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম। এতে জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা পড়েছেন ভোগান্তিতে। দীর্ঘদিন ধরে এমন সমস্যায় পড়ে আছে ঝালকাঠিবাসী। ফলে জরুরি প্রয়োজনে জমি বেচাকেনা ও কাগজপত্র উত্তোলন করতে পারছেন না সেবাগ্রহীতারা। এতে রাজস্বও হারাচ্ছে সরকার। এ ভোগান্তি থেকে দ্রুত পরিত্রাণের দাবি জানিয়েছেন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।
জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ঝালকাঠি সদর, নলছিটি, এবং কাঁঠালিয়া উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার পদ বেশ কয়েক মাস ধরে শূন্য। শুধুমাত্র রাজাপুর উপজেলায় একজন সাব-রেজিস্ট্রার রয়েছেন, যিনি সপ্তাহে ঝালকাঠি সদরে দুই দিন এবং অন্য উপজেলায় এক দিন অফিস করছেন। তিনি যেদিন যেখানে অফিস করেন, সেদিন ওই উপজেলায় জমির দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে অফিসের কার্যক্রম। এতে গ্রাম থেকে আসা মানুষ বিপাকে পড়েন।
জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহে ৫ দিনেই একজন সাব-রেজিস্ট্রার প্রয়োজন। নির্দিষ্ট সময়ে দলিল রেজিস্ট্রি এবং নথির কপি না পাওয়ায় অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সাব-রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর ছাড়া কোনও কাজই সম্পন্ন হচ্ছে না, ফলে সেবাগ্রহীতারা বিপাকে পড়ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দলিল লেখক বলেন, প্রতি সপ্তাহে দুই-আড়াই’শ দলিল রেজিস্ট্রি হতো একেক উপজেলায়। কিন্তু সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় এখন সপ্তাহে এক দিন দলিল রেজিস্ট্রি হয়। এতে দলিল লেখক ও জমির ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
ঝালকাঠি শহরের চাঁদকাঠি এলাকার আবুল হোসেন বলেন, একটি জমির দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য কয়েক দিন অফিসে গিয়েও করাতে পারিনি। শুনেছি একজন সাবরেজিস্ট্রার সপ্তাহে এক দিন অফিস করেন।
রাজাপুরের সাব-রেজিস্ট্রার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমার জন্য একটু কষ্ট হলেও আমি চার উপজেলার দায়িত্ব পালন করছি। অফিসের সময়ের বাইরে কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি, তবে একদিনেই সব কিছু করতে হচ্ছে।
জেলা রেজিস্ট্রার মহসিন মিয়া জানান, তিনটি অফিসে সাব-রেজিস্ট্রার না থাকার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছেন, নতুন সাব-রেজিস্ট্রার নিয়োগ হলে সমস্যাগুলি সমাধান হবে।
সেবাগ্রহীতারা দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন, যাতে তারা সহজে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ করতে পারেন।