রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার অভ্যন্তরে দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার নলছিটির উপজেলা প্রতিনিধি আরিফুর রহমান নামে এক সাংবাদিককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের (কনস্টেবল) বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে নলছিটি থানায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রেজানুন্নবী রাজুকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরে এই পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল নিশ্চিত করেছেন। ভুক্তভোগী সাংবাদিক আরিফুর রহমান এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, পারবারিক কলহের জের ধরে সাংবাদিক আরিফুর রহমানের চাচাতো ভাই শুক্কুর সরদারের বিরুদ্ধে জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দিয়ে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী। খবর পেয়ে নলছিটি থানার এএসআই ও কনস্টেবল রেজানুন্নবী রাজু ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে শুক্কুর সরদার ও তার স্ত্রীকে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিক আরিফুর রহমান থানায় গিয়ে তার চাচাতো ভাইকে ঘাড় ধাক্কা দেওয়ার ঘটনাটি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অবহিত করেন। পরে দুই পক্ষের আত্মায়-স্বজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে সালিশ-মীমাংসার সিদ্ধান্ত হয়।
পরবর্তীতে ওসির কক্ষ থেকে বের হওয়ার পর ডিউটি অফিসারের রুমের সামনের বারান্দায় কনস্টেবল রেজানুন্নবী রাজু সাংবাদিক আরিফুর রহমানকে চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। তখন সে বলতে থাকে ‘তোর এত বড় সাহস, তুই থানায় এসে আমার নামে ওসির কাছে নালিশ করো? তোর মতো সাংবাদিকের হাত-পা ভেঙ্গে দিলেও কিছু হবে না।’
এরপর কনস্টেবল রেজানুন্নবী রাজু সাংবাদিক আরিফুর রহমানের গলা চেপে ধরেন। একপর্যায়ে সে দৌড়ে ওসির রুমে যাওয়ার চেষ্টা করলে কনস্টেবল রেজানুন্নবী রাজু তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) রেজানুন্নবী রাজুর মুঠোফোনে বার বার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রেজানুন্নবী রাজুকে বৃহস্পতিবার রাতেই জেলা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। সংবাদকর্মী আরিফুর রহমানের লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।