বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন

৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ঝালকাঠিতে বরিশাল–খুলনা মহাসড়ক অবরোধ স্থগিত

৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ঝালকাঠিতে বরিশাল–খুলনা মহাসড়ক অবরোধ স্থগিত

৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ঝালকাঠিতে বরিশাল–খুলনা মহাসড়ক অবরোধ স্থগিত

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদীর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ঝালকাঠিতে বরিশাল–খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্র-জনতা। প্রশাসনের আশ্বাসে চার ঘণ্টা পর অবরোধ সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হলেও আন্দোলনকারীরা ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করেছেন।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা থেকে ঝালকাঠি শহরের কলেজ মোড় এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী ও স্থানীয় সাধারণ মানুষ। এতে মহাসড়কের দুই পাশে কয়েক শতাধিক যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়ে। দূরপাল্লার বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়নি, যা প্রশাসনের ব্যর্থতারই প্রমাণ। দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন।

খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থলে যান ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কাওছার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এস.এম. বায়জীদ ইবনে আকবরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

এ সময় পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে।” তিনি জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আন্দোলনকারীদের মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।
প্রশাসনের আশ্বাসে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা সাময়িকভাবে অবরোধ তুলে নেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝালকাঠি জেলা কমিটির আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন বলেন, “আমরা প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এই সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পুনরায় বরিশাল–খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এদিকে অবরোধে আটকে পড়া যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি যৌক্তিক হলেও বারবার সড়ক অবরোধে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১২, ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর একই দাবিতে ঝালকাঠিতে একাধিকবার মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।

 

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

কাঠালিয়া বার্তা’য় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : মোবাইলঃ 01774937755 অথবা ই-মেইল: kathaliabarta.com












All rights reserved@KathaliaBarta 2016-2025
Design By Rana