নাঈম হাসান ঈমন:
সংবাদযোদ্ধা, দৈনিক শাহনামার প্রধান বার্তা সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক, বরিশাল খবরের সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানীর উপর হামলাকারীদের অনতিবিলেম্ব গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে অনলাইন প্রেস ইউনিটির প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ১০ জুন সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অনলাইন প্রেস ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক জনতার সংবাদ-এর সম্পাদক, সংবাদপত্র পরিষদের সহ-সভাপতি ও প্রেস ইউনিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান আলী। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন অনলাইন প্রেস ইউনিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য মিজান রহমান, প্রেস ইউনিটির সদস্য আল আমিন মুন্না, মেহেন্দিগঞ্জ টাইমস-এর সম্পাদক রুবেল তালুকদার, বাদল দাস, মিজানুর রহমান, মো. তুহিন প্রমুখ।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, নোমানী নির্ভীক সংবাদযোদ্ধা হিসেবে বরিশালে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে যাচ্ছে। তার উপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা না হলে এভাবেই একের পর এক হামলা চলতে থাকবে সংবাদযোদ্ধাদের উপর। যা আমরা কেউ চাই না। বক্তারা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার, সাগর-রুণীসহ সকল হত্যার বিচারের দাবি জানান। বক্তারা বলেন,
অনতিবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার করা না হলে যে কেউ যখন তখন মিথ্যে মামলায় আমাদের সংবাদযোদ্ধাদেরকে হয়রানী করবে, অতএব, যত দ্রুত সম্ভব এই আইন সংস্কার করুন।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক নোমানী বাড়ি থেকে বরিশালে আসার পথে ৩ জুন’২২ তারিখে শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে ঝালকাঠীর রাজাপুরের চল্লিশকাহানিয়া শাহরুমীর বাজারে পৌছা মাত্র তার ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এতে তার মাথায় অনেক ক্ষত হয়ে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে। বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন শেষে সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিল সাংবাদিক নোমানী। এ হামলায় তার বৃদ্ধা মা পারুল বেগম এবং বোন লিপি আক্তারও গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকেও বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের চল্লিশ কাহনিয়ায় অর্ধশত বছরের একটি পুরাতন কবরস্থান ও কালেমা, আল্লাহু এবং মুহাম্মদ লেখা একটি তোরন ভাঙ্গার জন্য আসামী পক্ষ উদ্যোগ নেয়। অপর পক্ষ ভাঙ্গার বিরোধীতা করে। কবর স্থান ও তোরন এর ব্যাপারে সাংবাদিক মামুনুর রশীদ নোমানী ৩১ মার্চ’২২ তারিখ একটি সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই খুনি চক্ররা সাংবাদিক নোমানীকে খুন করার পরিকল্পনা গ্রহন করে। খুন করার জন্যই তারা কুপিয়েছে। নোমানীকে মৃত ভেবে খুনীরা স্থান ত্যাগ করে। আল্লাহর রহমতে বেচেঁ যায় নোমানী। তার অবস্থা এখনো গুরুতর।