সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন

রাজাপুরে নারী ইউপি সদস্যসহ ২৩ জনকে আসামি করে মামলা

রাজাপুরে নারী ইউপি সদস্যসহ ২৩ জনকে আসামি করে মামলা

রাজাপুর  প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে বসতঘর ভাংচুর করে লুটপাটের ঘটনায় যুদ্ধাপরাধী হামেদ জম্মাদারের নাতনী চন্দ্রিমা রিমু ও নারী ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াসমি মুন্নিসহ ২৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ভূক্তভোগী মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। শহিদুল ইসলাম হাওলাদার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি এলাকার মৃত এস্কেন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে।
অভিযুক্ত নারী ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াসমি মুন্নি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য। সাতুরিয়া এলাকার যুদ্ধাপরাধী হামেদ জম্মাদারের নাতনী ও যুদ্ধাপরাধী মিল্লাত জম্মাদারের মেয়ে চন্দ্রিমা রিমু বর্তমানে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে বিউটিশিয়ান হিসেবে কর্মরত।
মামলার অপর অসামিরা হলো উপজেলা পূর্ব রাজাপুরের মো. জাহাঙ্গীর খান (৩০), মো. জালাল (৩৫), মো. মামুন সিকদার (৪০), মো. কামাল (২৫), মো. মোস্তফা হানিফ (৩৪), রাজাপুর সদরের মো. জামাল (৩০), বড় কৈবর্তখালীর মো. জুয়েল হাওলাদার (২৫), মো. নুর জামাল(২৮), মো. শুক্কুর (২৫), মোসাঃ লাইজু (২৮), মো. কহিনুর (৩০), সোমাঃ পপি বেগম (২৩), মোসাঃ তানিয়া বেগম (২৫), মো. সোহরাব হাওলাদার (৩০), মো. আল-আমিন (৩০), মো. তানবির (১৮), মোসাঃ রেহেনা বেগম (৩০), পূর্ব ফুলহার গ্রামের মো. মিলন (৩৬), আঙ্গারিয়া গ্রামের মো. সাইফুল (১৮), মো. নাইম (২২), বাগড়ি গ্রামের মো. নবাব বাবুর্চি (৪০)।
উল্লেখ্য গত  ৪ নভেম্বর সকালে নৈকাঠি এলাকায় ভূক্তভোগী মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের বাড়ি নারীসহ এক থেকে দেড়শত ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে যুদ্ধাপরাধীর হামেদ জম্মাদারের নাতনী চন্দ্রিমা রিমু ও নারী ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াসমি মুন্নি তান্ডব চালিয়ে বতসঘর ভাংচুর করে মাটিতে মিলিয়ে দিয়ে ঘরে থাকা সমস্ত মূল্যবান মালামাল লুট করে পিকআপ ভ্যানে করে নিয়ে যায়। যা এই স্বাধীন দেশে দিনের বেলায় এমন লুটপাটকে যুদ্ধের সময়কেও হার মানিয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রাজাপুর সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সদস্য নাজমা ইয়াছমিন মুন্নি সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, শহিদুল আমাকে জমির ঝামেলা গুছিয়ে দিতে টাকার একটি অফার দিয়েছিল সেটি আমি গ্রহন না করায় চন্দ্রিমা রিমুর সাথে আমার ভাল সম্পর্ক থাকায় আমার নাম জড়িয়েছে।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা স্থল থেকে আটককৃত জাহাঙ্গীর, নুরুজ্জামান, জুয়েলকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

কাঠালিয়া বার্তা’য় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : মোবাইলঃ ০১৮৪২২৫৩১২২












All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana