সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
সকালে আমি বাসায় ছিলাম তখন মা আমাকে বলে নানা বাড়ি যাই। আমি মাকে যেতে নিষেধ করছিলাম তারপরও মা আমার কথা শুনলো না, সে নানা বাড়ি চলে গেলো। মা আমাকে নানা বাড়ি যাবার কথা বলে একবারে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলো! ভাবতেই পারছি না এখন আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম এভাবে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন লাকী বেগমের সতেরো বছর বয়সী ছেলে কলেজ ছাত্র মো. সামীম। সামিম রাজাপুর সরকারি কলেজের ইন্টার প্রথম বর্ষের ছাত্র।
আমার বউ সব সময় জঙ্গলে হাটে আমি বার বার নিষেধ করি রাস্তায় হাটতে জঙ্গলে হাটলে সাপে কাটবে আর নসিমন আমার বউকে মেরে দিলো ভাবতেই পারছি না এভাবেই বলে কান্নায় ভেঙে পরেন নিহত লাকী বেগমের স্বামী মোস্তফা সিকদার। তিনি বলেন আমার লাকী রাস্তায় হাটার সময় গাড়ির ভয়তে রাস্তার পাশে লতাপাতা গাছপালা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হাটে আর আজ কিনা সেই গাড়ি তাকে ধাক্কা দিয়ে শেষ করে দিলো। তিনি আরও বলেন, দুইটি সন্তান বড় মেয়ে ২৩ বছর বয়সী মোসা সালমা আক্তার আর ছোট ছেলে সতেরো বছর বয়সী সামিম। মেয়েটি পাশ্ববর্তী কাঁঠালিয়া উপজেলায় বিয়ে দিছি আর ছেলেটা রাজাপুরে পড়ে। আমি ঝালকাঠিতে কাজ করি। আমাদের কত স্বপ্ন ছিলো ছেলে বড় হবে চাকুরি করবে।
বড় কৈবর্তখালী এলাকার মোঃ মোস্তফা সিকদারের স্ত্রী চল্লিশ বছর বয়সী লাকী বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি দক্ষিণ রাজাপুর বলাই বাড়িতে গেছিলো মঙ্গলবার সকালে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি আসার পথে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সমবায় নামক এলাকায় নসিমনের ধাক্কায় ছিটকে সড়কে পরে যায়। পরে স্থানীরা সকাল সাড়ে ৮টায় উদ্ধার করে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠায়। দুপুর সাড়ে ১২টায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকেই নসিমনের চালক উপজেলার আলগী এলাকার কাওসার মিরা পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
রাজাপুর থানা ওসি (তদন্ত) মোঃ ফিরোজ কামাল বলেন, পরিবারের সাথে কথা বলে অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।