বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় জমিজমা ও বালুর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আবু সালেহ (৩৭) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় নিহতের ছোট ভাই আবুল বাশার রুবেলের (২৭) একটি পা কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রেক্সোনা বেগম নামের একজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পাতলাখালী গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু সালেহ পাতলাখালী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে।
নিহত আবু সালেহের বোন আফসানা মিমি বলেন, ‘সোমবার রাত আড়াইটার দিকে আমার চাচাতো ভাই মো. শহিদুল ইসলাম সুমন, মো. রুম্মানসহ তাদের সাথে মো. নজরুল ইসলাম বাবুল চৌকিদার, মো. নান্না, মো. লিটন, মো. মিরাজ, মো. সবুজ, মো. মাসুম শরিফসহ আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ জন দলবদ্ধ হয়ে আমার ভাই আবুল বাশার রুবেলের ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবশে করে। পরে আমার ভাইকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে আমার আরেক বড় ভাই আবু সালেহ, তার স্ত্রী মোসা. সোনালী আক্তার ঘর থেকে বের হয়ে রুবেলের ঘরের কাছে গেলে সন্ত্রাসীরা আবু সালেহকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পার্শ্ববর্তী একটি ডোবায় ফেলে রাখে।’
নিহত আবু সালেহর স্ত্রী সোনালী আক্তার বলেন, ‘আমরা ঘরে ঘুমে ছিলাম। রাতে আমার দেবর রুবেলের চিৎকার শুনে আমার স্বামী আবু সালেহ ও আমি ঘরে থেকে বেড় হয়ে তার ঘরে গিয়ে দেখি সুমন ও আরও লোকজনে রুবেলকে কুপিয়ে ফেলে রেখেছে। আমরা যাওয়ার সাথে সাথে আমার স্বামী আবু সালেহকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। আমার পয়ে হাতুরি দিয়ে আঘাত করে। আমাদের ঘরে ঢুকে শোকেচ ভেঙে সম্প্রতি সুপারি বিক্রির ১ লাখ টাকা ও দুই ভরির বিভিন্ন অলংকার নিয়ে যায়।’
সোনালী আক্তার আরও বলেন, ‘আমরা ৯৯৯ ফোন দিলে ভান্ডারিয়া থানার পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমার স্বামী আবু সালেহ এবং আবুল বাশার রুবেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পথে আমার স্বামী মারা যান। আবুল বাশার রুবেল গুরুতর অবস্থায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।’
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ আনওয়ার বলেন, ‘জায়গা জমি ও বালুর ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আমরা রাতেই তাদের উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবু সালেহ এবং আবুল বাশার রুবেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়। পথে আবু সালেহ মারা যান। এ ঘটনায় সুমনের স্ত্রী রেক্সোনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। বাকি অপরাধীদের ধরতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।’