বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন
বাংলালিংক এবং টেলিটকের মধ্যকার ‘একটিভ শেয়ারিং’-এর মাধ্যমে দেশে চালু হলো ‘ন্যাশনাল রোমিং’। এর মাধ্যমে এ দুই মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের ব্যবহারকারীরা একে অপরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন। ইনকামিং এবং আউটগোয়িং ভয়েস কল, এসএমএস, ইন্টারনেট ব্যবহারসহ সব ধরনের সেবাই পাবেন ব্যবহারকারীরা।
শুরুতে টেলিটকের দুই হাজার ব্যবহারকারী বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন। ভবিষ্যতে টেলিটকের বাকি গ্রাহকরা এবং বাংলালিংকের গ্রাহকরা টেলিটকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।
ন্যাশনাল রোমিং হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল রোমিংয়ের মতোই একটি ব্যবস্থা। যখন কোনো স্থানে নির্দিষ্ট অপারেটরের নেটওয়ার্ক কাভারেজ থাকে না বা দুর্বল থাকে, তখন রোমিং সুবিধায় ব্যবহারকারী অন্য আরেকটি অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। বাংলাদেশে স্থানীয় পর্যায়ে প্রথমবার এটি চালু হচ্ছে।
জানা যায়, এ সুবিধায় শুরুতে বেসরকারি অপারেটর বাংলালিংকের প্রায় ১৪ হাজার টাওয়ার ব্যবহারের সুবিধা পাবে রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক।
টেলিকম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মাধ্যমে দেশজুড়ে টেলিটকের দুর্বল কাভারেজ স্থানের ব্যবহারকারীরা ভালো কাভারেজের নেটওয়ার্ক পাবেন। নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ডে প্রথমে টেলিটকের দুই হাজার গ্রাহক এ সেবা পাবেন।
বেশি কথা বলা, বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করা তথা ব্যবহারের মানদণ্ডে এই দুই হাজার গ্রাহক বাছাই করবে টেলিটক। তবে এখনই টেলিটকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবে না বাংলালিংক।
এ বিষয়ে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে নিজেদের নেটওয়ার্কের জন্য এখনই টেলিটকের থেকে কোনো অর্থ নিচ্ছে না বাংলালিংক।
ন্যাশনাল রোমিংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বাংলালিংক বা রবির মতো প্রাইভেট অপারেটরের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অপারেটর টেলিটকের প্রতিযোগিতায় আসতে হলে এখনই ১৫ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ লাগবে। বর্তমানে বাংলালিংকের প্রায় ১৪ হাজার টাওয়ার আছে, আর টেলিটকের মাত্র ৬ হাজার। কোথাও টেলিটকের ফোর জি পাওয়া যায়, একটু বাইরে গেলে থ্রি জি, আরেকটু বাইরে গেলে টু জি। কোথাও হয়তো নেটওয়ার্কই থাকে না। এসব সমস্যা অস্বীকারের কোনো সুযোগ নেই। তবে সমাধান আছে। ন্যাশনাল রোমিং সেই সমাধান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, আইসিটি অধিদপ্তর, বিটিআরসি, টেলিটক এবং বাংলালিংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।