বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর কারণে চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মোংলা বন্দরকে ৫ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর কক্সবাজারকে দেখাতে বলা হয়েছে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুরসহ ভোলা ও তার অদূরবর্তী দ্বীপ-চরগুলো ৭ নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ অদূরবর্তী দ্বীপ-চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে এখন একই এলাকায় রয়েছে।
আবহাওয়ার সতর্ক বার্তা PDF Download
‘হামুন’ আরও উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর নাগাদ ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আজ সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল ‘হামুন’। মোংলা বন্দর থেকে ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। পায়রা বন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। কক্সবাজার থেকে ৪১০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল ‘হামুন’।
অন্যান্য খবর : ভিডিও ভাইরাল: যুগ্ম সচিব বরগুনার সাবেক ডিসি ওএসডি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
অতি ভারী বৃষ্টির প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা-ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।