সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুর থেকে নিখোঁজ হওয়া মাদ্রাসা ছাত্র আমান’র সন্ধান মেলেনি নয় দিনেও। ঘটনায় পর রাজাপুর থানায় সন্তান নিখোঁজ দাবী করে একটি সাধারন ডায়েরি করেছে ছেলেটির পিতা আব্দুল্লাহ।
নিখোঁজ হওয়া ১০ বছর বয়সী মো. আমান উল্লাহ রাজাপুর উপজেলা সদরের “সমবায় আশরাফুল মাদারিস নূরানী, হাফিজি ও কওমী মাদ্রাসায় হেফজ্ বিভাগে হাফিজি পড়তো। তার বাড়ি গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালী গ্রামে।
সন্তান নিখোঁজের তথ্য জানিয়ে গনমাধ্যমকে আমানের পিতা মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমার ছেলে গত ২৮মে রোববার বিকেল ৫টায় মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোজাঁখুঁজির পরে তাকে না পেয়ে ৩জুন শনিবার রাতে রাজাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি।’
নিখোঁজ ছেলেটির পিতা আরো বলেন, ‘ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক মো. মনিরুল আমার ছেলেকে মারধর করেছে। সে কারনেই ভয়ে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গেছে। কিন্তু ছেলে বাড়িতেও যায়নি।’
নাম না প্রকাশ করার শর্তে মাদ্রাসার এক ছাত্র বলেন, ‘মারধরের পর আমানকে খুজে না পেয়ে আমরা অন্য ছাত্ররা হুজুরকে বলেছি, কিন্তু তিনি কোন গুরুত্ব দেননি। পরে আমানের বাড়ির লোক এসে ঘটনা শুনে খোঁজাখুজি শুরু করেন এবং সবখানে লিফলেট পোষ্টার মাইকিং করে সন্ধান চালাচ্ছে।
তবে মনিরুল ইসলাম নামের ঐ শিক্ষক মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমানকে পড়ার জন্য চাপপ্রয়োগ করা হয়েছে। মারধর করিনি, আমার ক্লাসে কোনো ব্যাথ বা লাঠি নেই।’
মাদ্রাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২৮ মে সকাল ৮টায় ১৩ বছর বয়সী নুরুল ইসলাম নামে এক ছাত্র না বলে বাড়িতে চলে যায় এবং বিকেল সাড়ে ৫টায় সে মাদ্রাসায় আসে। ঐ সয়ম মাদ্রাসায় বিরতি থাকায় ছেলেটি ক্লাসে না ঢুকে বাহিরে খেলাধুলা করেছে। তখন তার সাথে আমান নামের ছাত্রটাও ছিলো। ওরা কেউই সন্ধ্যার পর মাদ্রাসায় না আসায় আমি উভয়ের পরিবারের কাছে ঘটনা অবগত করেছি।
রাজাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, আমান উল্লাহ নামের ১০ বছর বয়সী শিশু সন্তান নিখোঁজ রয়েছে উল্লেখ করে ছেলেটির পিতা আব্দুল্লাহ গত ১দিন আগে থানায় লিখিত অবগত করেছে, যা সাধারন ডায়েরী হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ছেলেটির সন্ধান পেতে কাজ করছে পুলিশ।