শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে অটোরিকশাচালক মো. সবুজকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের ভাই মো. ইউসুফ বাদি হয়ে ফেনী মডেল থানায় ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
নিহত সবুজ লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার দক্ষিণ টুমচর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। বর্তমান ঠিকানা ফেনী পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চাড়িপুর এলাকায়।
আসামিদের মধ্যে ভারতে পালানোর সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে গ্রেপ্তার হওয়া নিজাম হাজারীর পিএস ও জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক ফরিদ মানিক ওরফে পিএস মানিকও রয়েছেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে গতকাল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের মধ্যে ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার, ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করিম উল্যাহ বিকম, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন, পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে।
এজাহারে ইউসুফ উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তার ভাই সবুজ অংশ নেয়। ওইদিন দুপুরে ফেনীর ট্রাংক রোডে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গুলি করলে সবুজ সার্কিট হাউজ রোডের দিকে চলে যায়। সেখানে স্বপন মিয়াজী, জানে আলম, মাহবুবুল হক লিটন ও অর্নবের গুলিতে সবুজ লুটিয়ে পড়লে অপর আসামিরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে।
ফেনী মডেল থানার ওসি রুহুল আমীন বলেন, সবুজ নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।