শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ পূর্বাহ্ন
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) থেকে ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করতে যাওয়া নগদ ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগকারী পাঁচ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়েছে সরকার। সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের এসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানোর কথা বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত রোববার এ চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নগদ ডিজিটাল ব্যাংকে পাঁচটি বিদেশি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান শেয়ারহোল্ডার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে– ব্লু হেভেন ভেঞ্চারস, অসিরিস ক্যাপিটাল পার্টনারস, জেন ফিনটেক, ফিনক্লুশন ভেঞ্জারস ও ট্রুপে টেকনোলজিস।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৬টি বিষয়ে তথ্য চেয়েছে। এগুলো হলো– নিবন্ধন ও ঠিকানা; গঠনকালীন মালিকানা কাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো; ব্যবসায়িক কার্যক্রম; বর্তমান মালিকানা ও তাদের নাগরিকত্ব; গত তিন বছরের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ও নিট সম্পদ এবং হোল্ডিং কোম্পানির ক্ষেত্রে সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক কার্যক্রম। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এসব তথ্য সংগ্রহ করে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
এদিকে প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছরে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ কয়েকশ কোটি টাকার বিনিয়োগ এনেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর এ মিশুক। ইতোমধ্যে নগদ ডিজিটাল ব্যাংকে ১১২ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ ঢুকেছে বলে জানান তিনি। গত রোববার সন্ধ্যায় দেশের স্টার্টআপ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল এক মতবিনিময় সভায় তানভীর এ মিশুক এসব তথ্য জানান। নগদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যা জানানো হয়।
নগদের এমডি বলেন, বেশ কয়েকটি বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান নগদ মোবাইল আর্থিক সেবা এবং নগদ ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগ করেছে। এমন প্রতিষ্ঠান নগদে বিনিয়োগ করেছে, যাদের বিনিয়োগ ফেসবুকেও (মেটা) আছে। তা ছাড়া ভারতের পেটিএমের একটি সিস্টার কনসার্নসহ বিশ্বের নামকরা কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করেছে।
তানভীর এ মিশুক বলেন, নগদ সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান, যা ডাক বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। ২০২৮ সাল পর্যন্ত ডাক বিভাগের সঙ্গে নগদের এ চুক্তি কার্যকর রয়েছে। এর ফলে নগদের মোট আয়ের ৫১ শতাংশ পাচ্ছে ডাক বিভাগ। ২০১৯ সালে যাত্রা শুরুর মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে নগদ বিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।