রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ অপরাহ্ন

টিকা নিতে যাওয়ার পথে রাজাপুরের আ’লীগ কর্মীকে বিএনপি ভেবে গ্রেপ্তার

টিকা নিতে যাওয়ার পথে রাজাপুরের আ’লীগ কর্মীকে বিএনপি ভেবে গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক:

ঝালকাঠির রাজাপুরের আদাখোলা গ্রামের তরিকুল ইসলাম খান। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে ১৭ আগস্ট সকালে বাসে করে উত্তরায় যাচ্ছিলেন। চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষ দেখে তিনি বাস থেকে নেমে হাঁটতে থাকেন। পুলিশ তাঁকে বিএনপির কর্মী ভেবে ধরে নিয়ে যায়।

১৭ আগস্ট পরদিন মঙ্গলবার ১৫৩ জন বিএনপি নেতাকর্মী ও অজ্ঞাত ২–৩ হাজার জনকে আসামি করে শেরে বাংলা নগর থানায় দুটি মামলা হয়। মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় ৪৭ জনকে। সেখানে তরিকুল ইসলাম খান ২৬ নম্বর আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ হামলা, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টা। টিকার কার্ড, কর্মস্থলের সনদ, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সুপারিশের পরও তাঁকে বিএনপি কর্মী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তরিকুলের স্বজনেরা।

তরিকুলের ছোট ভাই শরিফুল ইসলাম খান বলেন, পুলিশ আটক করার সময় তাঁর ভাইয়ের কাছে টিকার কার্ড ছিল। তিনি পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। শেরে বাংলা নগর থানা ও তেঁজগাও বিভাগ পুলিশ যোগাযোগ করলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। পরের দিন সকালে জানতে পারি, ভাইকে আসামি করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, একটি দেশে এমন ভাবে একজন মানুষকে বিনা দোষে আসামি করা হলো। তাহলে ন্যায় বিচার কোথায়!

এদিকে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের ৫ নম্বর বড়ইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবউদ্দিন শুরু মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত তরিকুলকে দেওয়া একটি প্রত্যয়নপত্রে বলা হয়েছে, আদাখোলা গ্রামের রুস্তম আলী খানের ছেলে তারিকুল ইসলাম খান ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য। আমার জানা মতে, তিনি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজের সঙ্গে জড়িত নন।

ইউনিটি থ্রো পপুলেশন সার্ভিসের (ইউপিটিএস) অফিস সহকারী মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, তরিকুল ইসলাম তাঁর বড় ভাইয়ের বন্ধু। সেই সুবাদে তাঁদের উত্তরার ইউপিটিএস টিকা কেন্দ্রে প্রথম ডোজ নেন। মঙ্গলবার তাঁর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার তারিখ ছিল। সকাল ১০টার সময় তিনি আমাকে ফোন করে বলেন, আর ঘণ্টাখানেক লাগবে পৌঁছাতে। সে সময় অপর পাশ থেকে গাড়ির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। দেরি হওয়াতে অনেকবার কল করা হয়। কিন্তু আর রিসিভ করেননি তিনি। পরে শুনলাম তিনি বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সি এ ব্যাপারে বলেন, ধরা পড়ার পর অনেকে অনেক কথাই বলে। আমরা সংঘর্ষস্থল থেকেই সবাইকে আটক করেছি। আটকের পর যাচাই–বাছাই করে মামলা করেছি। এখন আমরা তদন্ত করে দেখবো। যদি কেউ নির্দোষ হয় তাহলে তিনি অবশ্যই ছাড়া পাবেন।

 

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

কাঠালিয়া বার্তা’য় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : মোবাইলঃ ০১৮৪২২৫৩১২২












All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana