মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
মৌসুমের শুরু থেকেই ফলন কিছুটা কম হলেও ভালো দামে বিক্রি হওয়ায় খুশি ঝালকাঠির পেয়ারা উদ্যোক্তারা। জেলার খালভিত্তিক বাজার থেকে প্রতিদিনই সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে প্রায় আট কোটি টাকার পেয়ারা বিক্রি হবে।
‘দক্ষিণের আপেল’ খ্যাত ঝালকাঠির পেয়ারার ভরা মৌসুম চলছে এখন। সদর উপজেলার ভীমরুলি, শতদশকাঠি, জগদিশপুর, আঠাসহ প্রায় ১৫টি গ্রামে পেয়ারার বাগান ঘিরে জমে উঠেছে বাজার। এর মধ্যে ভীমরুলির খালকেন্দ্রিক বাজারটি সবচেয়ে বড়, যেখানে প্রতিদিন হাজারো কৃষক, আড়তদার ও ফড়িয়ার সমাগম ঘটে। এখান থেকেই পাইকাররা নৌকাভর্তি পেয়ারা কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাচ্ছেন।
চলতি মৌসুমে ফলন কিছুটা কম হলেও দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। পাইকারি বাজারে মনপ্রতি পেয়ারা ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে উদ্যোক্তা ও কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
পেয়ারা উদ্যোক্তা ভবেন্দ্র নাথ হালদার বলেন, “এ বছর ফলন কম হলেও দাম ভালো। মনপ্রতি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। এতে সবাই খুশি।”
স্থানীয় আড়তদার মনোজ হালদার জানান, “মৌসুম শেষে আরও দাম বাড়বে। ফলে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন।”
ঢাকার কাওরান বাজারের পাইকার ইউসুফ হোসেন বলেন, “আমি প্রতি বছর ঝালকাঠি থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করি। আটঘর, কুড়িয়ানা, জিন্তাকাঠী ও ভীমরুলি থেকে কিনে সড়ক ও নদীপথে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করি। তবে ভীমরুলির পেয়ারা সবচেয়ে ভালো মানের।”
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “এ বছর পেয়ারার দাম ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মৌসুমে প্রায় আট কোটি টাকার পেয়ারা বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, চলতি মৌসুমে ঝালকাঠি জেলায় ৪৬২ হেক্টর জমিতে পেয়ারা আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৫ হাজার ৬২৬ মেট্রিক টন পেয়ারা উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।