বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
সাইদুল ইসলাম, রাজাপুর থেকে:
আগামী ১৭ অক্টোবর সোমবার অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ঝালকাঠির রাজাপুরে জনমনে তেমন একটা আগ্রহ দেখা যায়নি এতদিন। পরোক্ষ ভোটের এই নির্বাচনে কোন ধরনের উত্তাপও ছড়ায়নি। তবে নির্বাচনে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী না হলেও জেলার ৩নং ওয়ার্ড রাজাপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হয়েছেন একাধিক। আর এই বিদ্রোহী প্রার্থীরা পদ-পদবী ধারন করছেন উপজেলা আ.লীগের। একারনেই দ্বিধা বিভক্তি হয়ে রাজনৈতিক কারণে নির্বাচনী মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন ক্ষমতাসীনরা প্রার্থীদের পক্ষে বিপক্ষে। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার নন এমন ব্যক্তিদের এই এলাকায় অবস্থানের নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও প্রশাসন এখন পর্যন্ত বৈধ অস্ত্র বহন চলাচল ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেননি। অপরদিকে এ নির্বাচনী এলাকার ঝালকাঠির জেলার সদর ও নলছিটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজন না থাকায় এলাকায় বাড়ছে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের পক্ষে বিপক্ষে ক্ষমতাসীন দলেন নেতাদের ভীড়। সরেজমিনে জানা গেছে, নির্বাচনে ৭৯ জন ভোটারের মধ্যে রাজনৈতিক ভাবে নিস্কীয় অর্ধেক ভোটার ভোট প্রয়োগে এসে ঝুঁকির মধ্যে পরতে চাচ্ছেন না। প্রার্থীদের মধ্য থেকে তাদেরকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলা হলেও তারা বিশ^াস করতে পারছেন না।
দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের পক্ষে আচরণ বিধি না মেনে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। নির্বাচনে রাজাপুর ওয়ার্ডে রয়েছেন একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সহ চার প্রতিদ্ব›দ্বী, সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড ২ (রাজাপর, কাঠালিয়া) ওয়ার্ডে সাবেক জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সহ ৪ জন প্রতিদ্ব›দ্বী মাঠে লড়ছেন।
নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে সহকারী রিটানিং অফিসার ওহিদুজ্জামান মুন্সি বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ভোট কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নির্বাচন কমিশন সচিবালয় মনিটরিং করবেন। এছাড়াও রিটানিং অফিসার জেলা প্রশাসক ঝালকাঠি মহোদয় ইতিমধ্যে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেটদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শৃংখলা ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে পুলিশ সহ অন্যান্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়ন সহ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ভোট কেন্দ্রে প্রশাসন ও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ ও শান্তি পূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করবেন।