শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ অপরাহ্ন
সাকিবুজ্জামান সবুর:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে চান্দের হাট পর্যন্ত খালের পাড়ের রাস্তাটির বালা বাড়ীর পর থেকে বেশি কিছু অংশ ভেঙ্গে খালে পড়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে পথচারী ও যানবাহন। জনগুরুত্বপূর্ন এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন যানবাহন ও শতশত মানুষ চলাচল করে। চান্দের হাট থেকে পশ্চিরা আউরা হয়ে কাঠালিয়া সদরে যাওয়ায় অন্যতম সড়ক এটি। বিকল্প একটি সড়ক থাকলেও কয়েক মাস ধরে সংস্কারের কাজ চলায় সেখন থেকে চলাচল করা সম্ভব নয়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটিকে রক্ষা ও ভাঙন রোধের ব্যবস্থার দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা বিপুল হাওলাদার বলেন, আমার বাড়ির সামনে থেকে কয়েক মাস আগে রাস্তার বড় একটা অংশ ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। এখন অল্প একটু আছে সেখান দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী ও মানুষ চলাচল করে। তাই যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পাড়ে। কর্তৃপক্ষের উচিত অতি দ্রুত রাস্তাটি রক্ষার জন্য স্থায়ীভাবে বাঁধের ব্যবস্থা করা।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মো. শহীদ হাওলাদার বলেন, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন অনেক গাড়ি ও মানুষজন চলাচল করে। কিন্তু রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এখান থেকে চলাচল করা অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এখন শুধু মাত্র ঝুঁকি নিয়ে কোন মতে ছোট গাড়ি চলাচল করতে পাড়ছে। ফায়ার সার্ভিস, এ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোসহ বড় গাড়ি না চলতে পাড়ায় স্থানীয়রা অত্যান্ত চিন্তিত।
ওই এলাকার বাসিন্দা ও স্কুল শিক্ষক মো. সদরুল ইসলাম কামাল বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করি। রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে চলাচল করতে অনেক সমস্যা হয়। বাড়ির কাজের জন্য মালামাল নেয়া যাচ্ছে না। এছাড়া বড় কোন গাড়ী ও মালবাহী গাড়ী চলাচল করতে পাড়ছে না। তাই অতি দ্রæত রাস্তাটিকে বাঁধ দিয়ে রক্ষা করা উচিত তা না হলে কিছু দিন পরে এ রাস্তা দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
ইজিবাইক চালক সোহাগ মিয়া বলেন, এ রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় একটি একটি করে ভাঙ্গা অংশ দিয়ে গাড়ি যেতে হয়। তাও খুব ঝুঁকি নিয়ে। যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এখনি রাস্তাটি মেরামত করা না হলে এ রাস্তা দিয়ে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
ভ্যান চালক সুভাস বলেন, এই রাস্তা দিয়ে মালামাল নিয়ে পশ্চির আউরা এলাকায় যেতে হয়। কিন্তু ভ্যানে করে মালমাল নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চালচল করা অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারের উচিত রাস্তাটি রক্ষার জন্য খালের পাড়ে একটি বাধের ব্যবস্থা করে রাস্তার ভাঙ্গা অংশ মেরামত করা। পথচারী ইমরান হোসেন বলেন, রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় গাড়ি নিয়ে চলাচলা করা খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পাড়ে। তাই অতি দ্রæত মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।
কাঠালিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহমুদুল হক নাহিদ সিকদার জানান, ইতিমধ্যে আমি ওই রাস্তার ভাঙ্গা অংশটি কয়েকবার পরিদর্শন করেছি। মেরামতের জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক মেরামতের জন্য কোন বরাদ্দ না থাকায় মেরামত করা সম্ভব হয়নি। বরাদ্দ পেলে স্থায়ীভাবে বাধ দিয়ে মেরামত করা হবে’।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সাদ জগলুল ফারুক বলেন, রাস্তাটি মেরামত বা প্রটেকশনের জন্য আমরা ইতিমধ্যে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। তার পরেও যদি জরুরী ভাবে মেরামতের দরকার হয় আমারা বিকল্প ভাবে দ্রæত মেরামতের ব্যবস্থা করবো।