বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া প্রেসক্লাবের সামনে রাকিবুল হত্যার বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে অবস্থান ও মানবন্ধন করেছে স্বজনরা। আজ শনিবার সকালে কাঠালিয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ অবস্থান ও মানববন্ধন করেন নিহত রাকিবুলের পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্বীয়-স্বজনরা ও এলাকাবাসীরা। এ সময় অংশগ্রহনকারীরা হত্যার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান।
ঘন্টা ব্যাপী এ অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নিহত রাকিবুলের পিতা মো. শফি হাওলাদার, অন্তঃসত্ত¦া স্ত্রী হাঁসি বেগম, খালাতো ভাই মো. শফিকুল ইসলাম সৌমিক, ছেলে মো. সাকিবুল ইসলাম, বড় ভাই মো. তরিকুল ইসলাম।
এছাড়া এসময় লিখিত অভিযোগপত্রে ছেলে সাকিবুল ইসলাম জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকালে আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে জোর পূর্বক সন্ত্রাসীরা আমন ধানের চারা রোপন করার চেষ্টা করলে আমরা তাতে বাঁধা দিলে পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় দক্ষিন চেচরী গ্রামের শহিদুল ইসলাম শহিদ, ইব্রাহিম হোসেন তপু, নজরুল ইসলাম হাওলাদার, মিজান হাওলাদার, ডলি বেগম, মামুন হাওলাদারসহ আরো অনেকে।
এ সময় আমার পিতা রাকিবুল ইসলাম, দাদা শফি উদ্দিন, চাচা তরিকুল ইসলাম এবং দাদী নুরজাহান বেগম লিলি সহ অন্যরা গুরুতর আহত হয়। আহতদের প্রথমে আমুয়া হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরবর্তীতে আমার পিতা রাকিবুলের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে ছয় দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পরে গত ২ সেপ্টেম্বর সকালে তার মৃত্যু হয়।
সাকিবুল ইসলাম আরও জানান, আমার পিতা মারা যাওয়ায় আমাদের সংসারটি এখন ধংষের দারপ্রান্তে। আমি একমাত্র সন্তান, আমি লেখা পড়া করতেছি। আমার মা অন্তস্বত্ত¡া থাকায় বর্তমানে সে অসুস্থ। আমার পিতাকে হত্যা করার কারনে আমার লেখা-পড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মা হাসি বেগম গর্ভবর্তী থাকায় যেকোন সময় সে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে। আমরা অবস্থান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ন্যাক্কার জনক হত্যা ও হামলার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নিহত রাকিবুলের পিতা মো. শফি হাওলাদার, মা লিলি বেগম, অন্তঃসত্ত¦া স্ত্রী হাঁসি বেগম, বড় ভাই মো. তরিকুল ইসলাম, ভাই মো. আরিফ বোন সুলতানা বেগম, ছেলে মো. সাকিবুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ইউপি সদস্য, আত্বীয়-স্বজনসহ সহ এলাকাবাসী।
থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) এইচ এম শাহীন জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামী উপজেলা দক্ষিন চেঁচরী গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের পুত্র মো. নান্না মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট বিকেলে উপজেলার দক্ষিন চেঁচরী গ্রামের ষাটকুড়ার মোড় এলাকায় বিরোধীয় জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করা নিয়ে সংঘর্ষে পিতা পুত্রসহ দুই পক্ষের কমপক্ষে পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়।