শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় প্রতারনা করে বিয়ে করার পর এখন অস্বীকারের অভিযোগ সৌদি প্রবাসী মামুন হাওলাদার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। স্বামীর স্বীকৃতি পেতে স্বজনদের নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে শ^শুরবাড়ীতে অবস্থান করছেন রিপা আক্তার। তবে স্ত্রী ঘরে আসায় প্রবাসী স্বামী মামুন হাওলাদার লাপাত্তা। রিপার দাবী, বিয়ের কথা স্বীকার করলেও মিথ্যা অজুহাতে তাকে মেনে নিতে চাননা মামুন ও তার পরিবার। মামুন দ্বিতীয় বিয়ে করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন রিপা আক্তার। ঘটনাটি উপজেলার আওরাবুনিয়া গ্রামে।
জানাগেছে,কাঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া গ্রামের আবু বকরের ছেলে সৌদি প্রবাসী মামুন হাওলাদারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি গ্রামের মশিউর রহমানের মেয়ে রিপা আক্তারের। এ অবস্থায় ভাগ্যের চাঁকা ঘোরাতে সৌদি আরবে পারি জমান মামুন হাওলাদার। মোবাইল ফোনে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মধুর। উভয় পরিবারের সম্মতিতে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্ট্রার ও কাজী অফিসে ৪ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহ সম্পন্ন হয় মামুন ও রাখি আক্তারের। মামুন সৌদিতে থাকায় তার পক্ষে উকিল হয়ে কাবিনে সাক্ষর করেন তারই পিতা আবু বকর হাওলাদার। মোবাইল ফোনের ভিডিও কলের মাধ্যমে কলেমা পরে রিপাকে বিয়ে করেন মামুন হাওলাদার। এরপর থেকে নিয়মিত ফোনে কথা হয় স্বামী স্ত্রীর। এ বছরের ২৮ ফের্রুয়ারী সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেন মামুন। ২৫ মার্চ বউ তুলে আনার দিন নির্ধারণ করে উভয় পরিবার। বর যাত্রী বরণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রিপার পরিবার। এরই মধ্যে ২৪ মার্চ মামুন ও তার পরিবার এ বিয়ে অস্বীকার করে। রিপার সাথে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় মামুন। হতাশ হয়ে ছোট ভাই আবুল কাসেম, চাচী কহিনুর বেগম, খালা রাশিদা বেগম ও চাচাত বোন বৃষ্টি আক্তারকে নিয়ে স্বামীর বাড়ীতে আসেন রিপা।
কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন রিপা আক্তার, চোঁখ মুছে জানান, চার বছর পুর্বে রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া গ্রামে তার নানা বাড়ী এলাকায় বসে পরিচয় হয় মামুনের সাথে। সেই সুবাধে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় তাদের। এখন সেই বিয়ে অস্বীকার করছে মামুন। স্বামীর ঘরে আসছি, এখানেই থাকতে চাই। রিপা আরো জানায়, এখানে আসার পর আমার স্বামীর ও ভাড়াটিয়া কিছু বখাটে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে রিপার স্বামী মামুন হাওলাদারের মোবাইল নং (০১৭১৫-৩৭১১৫২) বন্ধ এবং মামুনের মা-বাবাকে বাড়ীতে না পাওয়ায় তাদেরও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বজলুর রহমান হাওলাদার এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজী হননি।