সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৪:০৩ অপরাহ্ন

কাঠালিয়ায় জোয়ারে পানি বৃদ্ধি ও বিরামহীন বর্ষনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কাঠালিয়ায় জোয়ারে পানি বৃদ্ধি ও বিরামহীন বর্ষনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বার্তা ডেস্ক:

পূর্ণিমা ও নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ার বৃদ্ধি ও বিরামহীন বর্ষনে পানিতে ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে পুকুর, মাছের ঘের ও আমনের বীজতলা।

জানা গেছে, জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার আমুয়া, জয়খালী, হেতালবুনিয়া, চিংড়াখালী, কাঠালিয়া, দক্ষিণ আউরা, পশ্চিম আউরা, বড় কাঠালিয়া, কচুয়া, রগুয়ার চর, রগুয়ার দরিচর, আওরাবুনিয়া ও জাঙ্গালিয়াসহ ১৫টির অধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

আওরাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. মাইনুল হোসেন বলেন, জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসলের ক্ষেত ও বাড়ির আঙ্গিনাও পানিতে তলিয়ে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিষখালী নদীর তীরে স্থায়ী কোন ভেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেলেই নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। বিষখালী নদীর তীরে যে মাটির বাঁধটি রয়েছে তা ঘুর্ণিঝড় আম্ফানে বিভিন্ন স্থান ভেঙে গেছে। যে কারণে খুব সহজে জোয়ারের পানি ঢুকে পরে নিচু এলাকায়।

আমুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম জানান, বিষখালী নদীতে স্থায়ী ভেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেলেই আমুয়ার অনেক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ফসলের জমিতে পানি আটকে আমনের ক্ষতি হয়। পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাছ ভেসে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডে আওতায় বিষখালী নদীর পাড়ে স্থায়ী ও টেকসই ভেড়িবাঁধ নির্মান না করা হলে রাস্তাঘাট ও ফসলের ক্ষতি রক্ষা করা সম্ভব নয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বিষখালী নদীতে ভেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। বর্তমানে পূর্ণিমা ও নি¤œচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে আমন বীজতলা তলিয়ে গেছে। তবে নদীতে বাটা হলে পানি নেমে যাওয়ায় কৃষকরা কিছুটা রক্ষা পাবে।

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হাসান বলেন, কাঠালিয়ায় বিষখালী নদীর বাঁধটির ভাঙা অংশের নিকটে একটি খাল রয়েছে। ওই খাল দিয়ে পানি চলাচল করে। তাই নদীর একদম কাছ থেকে বাঁধটি ভেঙে গেছে। ওখানে নতুন করে বাঁধটি দিলে থাকবে না। তবে সরিয়ে দূর থেকে দিতে হবে। এই বর্ষার মৌসুমে বাঁধটি নির্মানের উপযুক্ত সময় নয়। তার পরেও আমি অফিসারকে পাঠাবো পরিদর্শনে। যদি মেরামত সম্ভব হয় তবে দ্রæত মেরামত করা হবে।

তিনি আরো বলেন, কাঠালিয়া, রাজাপুরসহ ঝালকাঠিতে যত ঝুকিপূর্ণ বাঁধ আছে এবং যদি নতুন কোন বাঁধ দরকার হয় সরজমিনে তার সার্ভে চলছে। সার্ভে শেষ হলে আমরা নতুন প্রকল্প হাতে নিচ্ছি। যেহেতু মেরামত করে সম্ভব হয় না সব সময়। মেরামত হয় একশ মিটার দুইশ মিটার তাই বৃহৎ পরিসরে ঝালকাঠি জেলায় যত বাঁধ আছে ঝুকিপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্থ এবং যদি নতুন প্রয়োজন হয় সকল ধরনের বাঁধ মেরামত ও নির্মানের জন্য খুব শীগ্রই আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।

 

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

কাঠালিয়া বার্তা’য় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : মোবাইলঃ 01774937755 অথবা ই-মেইল: kathaliabarta.com












All rights reserved@KathaliaBarta 2016-2025
Design By Rana