রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাবে ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় ঝড়ো হাওয়া, ভারি বর্ষণ, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে মাঝারি ও ভারি বর্ষণ এবং দমকা হাওয়া বইছে। বৈরী আবহাওয়ায় জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ দোকান পাট বন্ধ, হাট বাজার ও রাস্তাঘাট ফাকা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরণের কোন ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কিছু গাছপালার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা জুড়ে রোববার মধ্যরাত থেকে বিদুৎ সরবারাহ বন্ধ এবং নেটওয়ার্ক সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে। দিন মজুর ও শ্রমিকরা কাজে নামতে পারেননি। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর সচেতনতায় মাকিং করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার ১৫ আশ্রয়ন কেন্দ্রসহ ৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাম সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
চা দোকানদার সালাম বলেন, বৈরি আবাহাওয়ার কারনে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাঘাটে তেমন লোকজন নেই। পেটের টানে সবকিছু উপেক্ষা করে দোকান খুলতে বাধ্য হয়েছি। তবে কাস্টমার নেই বললেই চলে।
বিষখালী নদীর তীরের বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, আমরা নদীর পাড়ে বসবাস করি। বেরিবাঁধ না থাকায় বন্যা হলেই আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।
কাঠালিয়া উপজেলা মোড়ের কম্পিউটার ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, রোববার মধ্যরাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। জরুরী কাজের জন্য দোকানে আসলেও বিদ্যুৎ না থাকায় কোন কাজই করতে পারিনি। বাহিরেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
কাঠালিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আজিম সিকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে প্রচন্ড বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে বাজারে লোকজনের উপস্থিতি নেই। বেশির ভাগ দোকান পাটও বন্ধ রয়েছে। ৮নম্বর বিপদ সংকেত পেয়ে যারা দোকান পাট খুলছিলেন তারাও বন্ধ করে বাড়ি যাচ্ছেন।
উপজেলা ওজোপাটিকোর উপ সহকারী প্রকৌশলী আ. আলিম বলেন, ভান্ডারিয়া থেকে কাঠালিয়ার মেইন লাইনে সমস্যার জন্য উপজেলা জুড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্চিন্ন রয়েছে। বন্যা উপেক্ষা করেও আমরা কাজ করছি। আশা করি খুব শিগ্রই বিদ্যুৎ দিতে পারবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। এছাড়া মানুষের সচেতনতার জন্য উপজেলা জুড়ে মাকিং করা হয়েছে। মানুষের আশ্রয়ের জন্য উপজেলার সকল আশ্রয়ন কেন্দ্র, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা খুলে রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। তবে নগদ টাকা ও অন্যান্য সব ব্যবস্থা রয়েছে।