বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ অপরাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় গরু চুরির হিড়িক পড়েছে। কখন গোয়াল থেকে গরু চুরি হয় এই আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
সুযোগ পেলেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। গত কয়েক মাসে এ উপজেলায় উল্লেখযোগ্য হারে গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।
সর্বশেষ সোমবার দিবাগত গভীর রাতে চিংড়াখালী গ্রামের কৃষক মো. মজিবুর রহমান রসুল খানের ঘোঁয়াল ঘর থেকে চারটি গরু একটি সংঘবদ্ধ চোর দল চুরি করে নিয়ে যায়। বহু খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। কৃষক রসুল খান জানান, তাঁর চুরি হওয়া গরুর মূল্যে দুইলক্ষ টাকার বেশি। এছাড়াও কিছুদিন আগে একই এলাকার কবির মিয়ার ৬টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোর দলটি। বার বার গরু চুরি হওয়ায় এলাকার গরুর খামারী ও কৃষকরা আতঙ্কে ভুগছে।
পুলিশের নজরদারির অভাব আর রাত্রিকালীন টহল না থাকার কারণে চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অনেকের অভিযোগ। সংঘবদ্ধ চোরের দল নানা কৌশলে একের পর এক চুরি করে যাচ্ছে।
অধ্যাপক আবদুল হালিম বলেন, প্রায় রাতেই গোয়াল ঘর থেকে চোরের দল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে দরিদ্র কৃষকের সহায় সম্বল। যাদের গরু আছে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ জমানো সঞ্চয়, ধার-দেনা কিংবা ঋণ নিয়ে গরু কিনে তা লালন পালন করে থাকেন। সংসারে একটু স্বচ্ছলতা আনতে তারা অনেক কষ্ট করে থাকেন। গরুর দুধ বিক্রি করে পরিবারের খরচের টাকা যোগান। কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো গরু দিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর গরু চোরেরা যখন এসব মূল্যবান গরু চুরি করে নিয়ে যায় তখন হতদরিদ্র এসব পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ে।