বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া ও বরগুনার বেতাগীর মাঝে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বিষখালী নদীতে কচুয়া-বেতাগী ফেরি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে ফেরির উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য, সাবেক শিল্প ও খাদ্যমন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু (এমপি)।
সেতু উদ্ধোধন উপলক্ষে কচুয়া ফেরি সংলগ্ন মাঠে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঝালকাঠি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহনের (বিআইডবিøউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, সড়ক ও পরিবহন অধিদপ্তরের ফেরি উইং এর তত্ত¡াবধায়ক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস।
বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব ও কচুয়া গ্রামের বাসিন্ধা আতিকুর রহমান রুবেল, সড়ক ও পরিবহন বিভাগের বরিশাল সার্কেলর তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ, সড়ক ও পরিবহন বিভাগের পটুয়াখালী সার্কেলের প্রকৌশলী মো. মাসুদ করীম, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল হক মনির, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তরুন কর্মকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবুর রহমান উজির সিকদার, জেলা যুবলীগের আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির প্রমূখ। পরে অতিথিরা ফেরিঘাটের মোড়ক উন্মোচন করেন ও ফিটা কেটে ফেরিতে প্রবেশ করেন। ফেরির টোল নির্ধারণ ও অফিস কাঠালিয়ার কচুয়া পারে বসানো হয়েছে।
বক্তরা বলেন, বিষখালী নদীর ফেরির চালু হওয়ায় পায়রা থেকে মোংলা ও খুলনার দুরত্ব ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার কমবে। এ ফেরি দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ণেও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। ফেরি চালুর মাধ্যমে যশোর, বেনাপোল, খুলনা, মোংলা, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরী হলো।
স্থানীয়রা জানায়, বিষখালী নদীর কচুয়া বেতাগী খেয়াঘাট খেয়াঘাট যুগযুগ ধরে জুলুমের ঘাট হিসেবে পরিচিত। দুই কিলোমিটারের এই নদী পার হতে একজনকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়েছে। বহনযোগ্য মালামালেও টোল দিতে হয়েছে। এছাড়া ইজারাদারদের হাতে লাঞ্চিত হয়েছে বহু যাত্রী। ফেরি চালু হলে সেই দুর্ভোগ আর জুলুমের হাত থেকে মুক্তি পেলো দুই পারের যাত্রীরা। একই সাথে দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নুতন দিগন্তের সুচনা হলো।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর (এপিএস) কচুয়া গ্রামের বাসিন্ধা আতিকুর রহমান রুবেল বলেন, এই ফেরি স্থাপনে দুই পারের মানুষের গণদাবী ছিল। দীর্ঘদিন মানববন্ধন, সভা সমাবেশ ও আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তারা। তিনি আরো জানান, ঝালকাঠি-১ (কাঁঠালিয়া-রাজাপুর) আসনের সাংসদ আলহাজ¦ বজলুল হক হারুন ও বরগুনা ২ আসনের সাংসদ শওকত হাসানুর রহমান রিমন সম্মিলিতভাবে কাজ করেন এবং ডিও লেটার দেন। পরে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু (এমপি) এ কাজের তদারকি করেন।