বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহিদি মার্চ’ পালনের দিবসে ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের ঐহিত্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চেঁচরীরামপুর এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মেহেদী হাসান এর পদত্যাগ ও তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, অতিরিক্ত টাকা আদায়, নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের দাবীতে গত বৃহস্পতিবার (৫সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদের নিজ তলায় বিক্ষোভ করেছে বিদ্যালয়ের শির্ক্ষার্থীরা।
এসময় বিক্ষুদ্ধ কিছু শিক্ষার্থী, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান ও লাইব্রেরীয়ান মো. ইমরান হোসেন তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এস এম দেলোয়ার হোসেন এর অফিস কক্ষে প্রবেশ করে অসৌজন্যমুলক আচরন করেছেন।
বিষয়টি খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে তার দপ্তরে বৈঠক করে বিষয়টি সমাধান করেন। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন যথাসময় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরনের আশ্বাস দেন।
চেঁচরীরামপুর এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মেহেদী হাসান জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ছরোয়ার হোসেন সোহরাব ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। এবং উপজেলায় শিক্ষার্থীদেরকে তিনিই যেতে বাধ্য করেছে। ইউএনও স্যার তদন্ত কমিটি করেছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টেই আসল চিত্র বের হয়ে আসবে।
চেঁচরীরামপুর এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ছরোয়ার হোসেন জানান, তিনি সকালে ঢাকা থেকে বিদ্যালয় এসে দেখেন শিক্ষার্থীরা গাড়ী করে উপজেলায় যাচ্ছে। জিজ্ঞাসা করে জানাতে পারে তারা আন্দোলনে যাচ্ছে। কিছুক্ষন পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস থেকে ফোন পেয়ে ইউএনও স্যারের রুমে আসেন এবং স্যার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবীর সুষ্ঠ সমাধান করে দেন। তার বিরুদ্ধে আনা প্রধান শিক্ষক মো. মেহেদী হাসান এর অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এস এম দেলোয়ার হোসেন জানান, উপজেলার চেঁচরীরামপুর এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিক্ষুদ্ধ কিছু শিক্ষার্থী, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান ও লাইব্রেরীয়ান মো. ইমরান হোসেন তার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে তদন্ত রিপোর্ট দিতে দেরী কেন জানিয়ে অসৌজন্যমুলক আচরন করেছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার চেঁচরীরামপুর এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মেহেদী হাসান এর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, অতিরিক্ত টাকা আদায়, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে এর বিচার দাবী জানিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পৃথক দুইটি আবেদন করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান বিন ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য’র বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এসএম দেলোয়ার হোসেন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আমিনুল ইসলাম।