শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার আমুয়া বন্দর মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করায় প্রধান শিক্ষক এ কে এম শামীম মোল্লা এত বাধা দেয়ায় বখাটে ও সন্ত্রীসীরা তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে প্রধান শিক্ষককে প্রাণে বঁচাতে দপ্তরী ও ছাত্ররা তাঁকে একটি কক্ষে নিরাপদে রাখেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড, লাঠি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিদ্যালয়ের জানালা দরজা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে সন্ত্রাসী। এ সময় এসএসসি পরীক্ষার্থী রিমন ও রাকিব হোসেন নামের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনা বাইরে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ও অভিভাকরা এসে ঘটন্স্থাল থেকে দুই হামলাকারীকে আটক করে। পরে তাদেরকে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক এ কে এম শামীম মোল্লা বাদী হয়ে বখাটে রাব্বী হাওলাদার (১৮), বাবু ইব্রাহীম (৩০), ইয়াসিন(১৯) ও দুলাল হাওলাদাকে আসামী করে ( ৫০) কাঁঠালিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার(১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমুয়া বন্দর মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
প্রধান শিক্ষক এ কে এম শামীম মোল্লা জানান, রাব্বী হাওলাদারসহ ৩/৪জন বখাটে বিদ্যায়ের অনেক ছাত্রীদের পথে-ঘাটে কু-প্রস্তাবসহ আজে-বাজে কথা বলে ডিস্টার্ব করে আসছিলো। গত বুধবার(১৫ অক্টোবর) ওই রাব্বাী হাওলাদার ২/৩ টা ছেলে স্কুলে ভিতরে আড্ডা দিতেছিলো। তাদেরকে স্কুলে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেই। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ওই বখাটে রাব্বীসহ অপর একটি ছেলেসহ স্কুলে ঢুকলে আমি ডেকে এনে কেন আবার ক্যাম্পাসে এসেছো, জানতে চাইলে আামর সাথে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে রাব্বী হাওলাদার ছেলেটা স্কুলের জনালার শিক ভেঙ্গে আমার পিঠে আঘাত করে। আর সাথে থাকা অপর ছেলেটা বাইরে গিয়ে অন্য সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে দাও দিয়ে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে স্কুলের জানালা , দরজা ও আসবাবপত্র ভাংচুর চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে রাব্বী ও দুলাল হাওলাদারকে আটক করে।
উল্লেখ্য যে , বখাটেপনা, মাদক সেবন ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়ির থাকার কারণে (২০২২ সালে) এই রাব্বী হাওলাদারকে স্কুল থেকে বহিস্কৃত করা হয়েছিল।
কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মং চেনলা জানান, এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক এ কে এম শামীম মোল্লা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।