শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় অসহযোগ আন্দোলনকারিদের সাথে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গাড়ী ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা সদরের বাসস্টান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় বিআরটিসির একটি বাস এবং ৪টি মটর সাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এসময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ কমপক্ষে ১৭জন আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সেসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং গুরুতর আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেববাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টায় আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীরা বাসস্টান্ডে ঝড়ো হয় এবং বিক্ষোভ মিছিল করে। দেড় ঘন্টা ধরে চলে তাদের কর্মসুচী। বেলা সারে ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নেছার উদ্দিন ও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দিন সরকার আন্দোলনকারিদের সাথে কথা বলেন। কোন ধরনের জান মালের যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেন।
বেলা পৌনে ১২ টার দিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. এমাদুল হক মনির উপজেলার আমুয়া এলাকার নিজ বাড়ী থেকে উপজেলা সদরের আসার পথে বাসস্টান্ডের দক্ষিন পাশে দক্ষিন আউরা এলাকায় তার গাড়ীর ওপর হামলা হয়। এতে আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম ফোরকান সিকদার আহত হয়। এসময় বরিশাল গামী একটি বিআরটিসি বাস ভাংচুর করে এবং ৪টি মটর সাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাঈদ আহমেদ জিসান জানান, কেন্দ্রিয় কর্মসূচী অংশ হিসেবে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য বাসস্টান্ডে যাচ্ছিলেন তারা। এসময় বিএনপি জামাত শিবিরকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে সাঈদ আহমেদ জিসানসহ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক খান মাসুদ, আমুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.ফাহিম সিকদার (৪০) যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ খলিলুর রহমান, ছাত্রলীগ কর্মী মাহফুজ খান (১৯) রাসেল (২২) নাদিম খান (২৩) জয়দেব (২৩) জিয়া তালুকদার (২২)। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ছাত্রলীগ কর্মী মাহফুজ খানকে বরিশাল শেরই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপর দিকে আন্দোলনকারিরা জানান, তাদের শান্তিপুর্ন কর্মসূচীতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়। এতে তাদের ৫/৭জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
পরে বেলা ১২ টার দিকে বাসষ্ট্যান্ড এলাকা দখলে নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিমল চন্দ্র সমদ্দারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এমাদুল হক মনির, সহসভাপতি এসএম ফায়জুল আলম ফিরোজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো.শাহিন আলম, ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক নাহিদ, শিশির দাস, মাহমুদ হোসেন রিপন, বীরমুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন ও ছাত্রলীগের সভাপতি সাঈদ আহমেদ জিসান, সাধারন সম্পাদক খান মাসুদসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দিন সরকার জানান, দুই গ্রæপ মুখোমুখি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি সম্পুর্ন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি।