মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৪:০২ অপরাহ্ন

হারিয়ে যাচ্ছে বর্ষার কদমফুল

হারিয়ে যাচ্ছে বর্ষার কদমফুল

মেঘের ভেলায় ভেসে কদম ফুলের ডালি সাজিয়ে নব যৌবনা বর্ষার সতেজ আগমন ঘটেছে আষাঢ়ের প্রথম দিনে। যদিও বর্ষার ঘনঘটা এবার টের পাওয়া যাচ্ছে বেশ কদিন আগেথেকেই। গ্রীষ্মের অগ্নিঝড়া দিন গুলো প্রকৃতিতে যে বিবর্ন ও শুষ্ক করে তুলেছিল ,জনজীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছিল বর্ষার রিমঝিম বৃষ্টি সেইবিবর্ন প্রকৃতিকে করে তুলেছে সজীব ও প্রানবন্ত প্রাকৃতিক সোন্দে র্যের দিক দিয়ে বর্ষা যেন প্রকৃতির রানী। আর কদম ফুলকে বলা হয় বর্ষা ঋতুর হাসি। বৃষ্টির  সচ্ছ জলে ধুয়ে মুছে কদম ফুলে হেসে উঠে প্রতার আড়ালে থেকে। বৃষ্টির প্রানিতে সিক্ত মোহনীয় ঘ্রানে ভরপুর এই কদম ফুলকে নিয়ে বাংলা সাহিত্যেরচিত হয়েছে অসংখ্যা ছড়া কবিতা গান রয়েছে এই কদম কে নিয়ে। অথচ ক্রমান্বায়ে হাড়িয়ে যেতে বসেছে এই কদম ফুল এই কদম ফুলকে ছোট বড় সবাই পছন্দ করে এটি নিয়ে ছোট ছেলে মেয়ে খেলাধুলা করে। এটি আমাদের দেশের  সবখানেই দেখা যায় ।

এটি আমাদের দেশে সব জায়গায় দেখা গেলেও এর আদি নিবাস ভারতের উত্তরাঅঞ্চলে চীনা মালয়ে। যেখানে কদম নীপা নামেও পরিচিত। এছাড়া পুলকি,সর্যপ ললনাপ্রিয়,কর্নপূরক সুরভি ইত্যাদি নানা রকমের নাম রয়েছে এই ফুলের

ছোট বেলার মতো দেখতে এ ফুলের ভেতর ভাগে রয়েছেমাসংল পুষ্পাধারা। যাতে হলুদ রঙের পাপড়ি গুলো আটকে থাকে। পাপড়ি মাথায় থাকে সাদারঙের পরাগ। হলুদ সাদা সবুজ পাতার আড়লে দেখতে সুন্দরিই লাগে। ফুলেভরা কদম গাছ দেখতে সুন্দর লাগলেও এর আর্থিক মূল্য অনেক কম। এটির কাঠ নরম বলে তেমন আসবা পত্র তৈরীকরা হয়না। কাঠ দিয়ে দিয়াসলাই ও কাগজ তৈরী করা হয়। শুধু সৌন্দর্য নয়,ভেষজ গুনের পাশাপাশি কদমের রয়েছে অর্থনৈতিক গুরুত্বও। কাঠ দিয়ে কাগজ দিয়াশলাই ছাড়াও তৈরি হয়ে থাকে বাক্সপেটার। আর কদমের ছাল পাতা কিংবা পিপাসা নিবারনের পাশাপাশি কৃমি ও জ্বরনাশক এবং বলকারক। উঠানে সেই কদমের ঘ্রান  অনেকটাই যেন অতীত ।

আষাঢ়ের বৃষ্টি তো ছুয়েছে বৃক্ষ। তবে সেই রিমঝিম জলে কদমের কমলোতা খুজে পাওয়া ভার। চোখ জুড়ানো ঘন সবুজ পাতার মাঝে হলুদ বন্ধুত্ব এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না বল্লেই চলে। তাই আগের মত একখনার নাগরিকদের কদমের সেই সুঘ্রান  হৃদয় রাঙিয়ে নেও য়ার সুযোগ নেই বল্লেই চলে। একটা সময় ছিল যে গ্রামের মিঠ পথের পাশেই দেখা যেত কদমের সমারোহ ও বাতসে ভাসত সুঘ্রান। আজতা বিলুপ্তির পথে নেই সেই ঘ্রান গাছের সমারোহ। যান্তিক সভ্যত ও নগরায়নের যুগে কমতে শুরু করেছে এই কদম গাছ ।

অথচ আদিকাল থেকে কদমফুল বর্ষার প্রকৃতিকে রাঙিয়ে যাচ্ছে। এক কথায় কদম ছাড়া বৃষ্টিকাল অসম্পুর্ন। তাই এখন সময় এসেছে কদম গাছকে নিয়ে ভাবনার ও রাক্ষাকরবার উদ্যোগ নেওয়ার।

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

 

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

কাঠালিয়া বার্তা’য় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : মোবাইলঃ 01774937755 অথবা ই-মেইল: kathaliabarta.com












All rights reserved@KathaliaBarta 2016-2025
Design By Rana