শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির নলছিটিতে শপথ গ্রহণের দিনই ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারের দুই উদ্যোক্তাকে চাকুরিচ্যুত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার খান তার পরিষদের উদোক্তা মোঃ আসলাম হোসেন ও তার বোন হাফছা আক্তারকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে তার চাচাতো শ্যালককে নিয়োগ প্রদান করেছেন।
জানাগেছে,চাকুরিচ্যুত হওয়া ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আসলাম হোসেন ও তার বোন সাবেক চেয়ারম্যান শাহীন তালুকদার চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে নিয়োগ পান।এরপর থেকে দীর্ঘদিন যাবত সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে সুবিদপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার পরিচালনা করেছেন। বিনা কারণে অযৌক্তিক ভাবে দুই উদ্যোক্তাকে বাদ দিয়ে নতুন উদ্যোক্তার নাম প্রেরনের খবর জানতে পেরে তাঁরা এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক ঝালকাঠি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নলছিটি বরাবর দরখাস্ত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে আব্দুল গাফফার খান দায়িত্ব গ্রহণের পরই পূর্বের রেশন কার্ডধারী ১০ টাকা কেজি দরের চাল গ্রহণকারীদের অধিকাংশ নাম পরিবর্তন করেন এবং ২ জন চাল বিতরণকারী ডিলারকে পরিবর্তন করেছেন। এছাড়াও একটি সূত্র জানায়, ঝালকাঠি নলছিটি-২ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপি মহোদয়ের নির্দেশনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংগৃহীত ইউনিয়ন ভিত্তিক উন্নয়ন মূলক স্কিম থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দেয়া স্কীম কেটে নিজের পছন্দ মত স্কীম জমা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
উদ্যোক্তা আসলাম হোসেন বলেন, আমরা ২ জন দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে সুবিদপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে দায়িত্ব পালন করছি। নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আমাদেরকে না জানিয়ে নতুন উদ্যোক্তার নাম জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ে জমা দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
ডিজিটাল সন্তান হিসেবে আমাদের নিয়োগ প্রদানের জন্য মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন মামলা এখনো চলমান আছে। এব্যাপারে চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার খান জানান, ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। আমার এলাকার মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল তাই নতূন উদ্যোক্তা নিয়োগ দিয়েছি।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুম্পা সিকদার জানান, উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে লিখিত ভাবে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।