বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন

রাজাপুরে সিজারের রোগীসহ চার জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

রাজাপুরে সিজারের রোগীসহ চার জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির রাজাপুরের উত্তমপুর গ্রামের ভ্যানচালক মোঃ শাহাদাত মৃধার মেয়ে সিজারের রোগী রিমা আক্তার (৩০), স্ত্রী মাহিনুর বেগম (৫২) , শারীরিক প্রতিবন্ধি দুই ছেলে ইয়ামিন (১৮) ও জিহাদ (১৫) কে গত শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে একই বাড়ির প্রতিপক্ষের লোকজন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে পিটিয়ে, ইটপাটকেল নিক্ষেপকরে ও পা দিয়ে মারিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর ফুলা জখম হওয়ায় আহত রিমা আক্তার ও জিহাদকে ওইদিন রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। আহত রিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষ এনায়েত মৃধার অর্থবিত্ত ও লোকজন বেশী থাকায় এবং তারা স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে প্রায়ই আমাদের পরিবারের লোকজনের উপর চড়াও হয়। তিনি আরো জানান, দুই মাস আগে তার সিজার হয়। সে পুরোপুরি সুস্থ্য নয়। তিনি কয়েকদিন আগে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসছেন। ঘটনার সময় তার বাবা ভ্যানচালানোর কাজে বাহিরে ছিলেন। তিনি পাশের বাড়ি মরিচ আনতে গিয়েছিলেন। তাদের একটি ছাগল অন্য এক প্রতিবেশী কাঞ্চন মৃধার বাড়িতে গেলে বিষয়টিকে কেন্দ্রকরে মা মাহিনুরের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায় এনায়েত মৃধা, তার ছেলে সাগর ও নাইম এবং কাঞ্চন মৃধা লাঠিসোটা নিয়ে মা মাহিনুরকে মারতে তেড়ে আসে। মাহিনুর ভয়ে দৌড়ে নিজের ঘরে গিয়ে দড়জা বন্দ করে দিলে প্রতিপক্ষরা জানাল দিয়ে ঘরের ভিতরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় মা মাহিনুর চিতকার করলে আমি পাশের বাড়ি থেকে এসে বিষয়টি জানতে চাইলে প্রতিপক্ষরা আমাকে লাঠিদিয়ে এলোপাতারী পিটিয়ে সমস্ত শরীরে ফুলাজখম করে। এসময় তার প্রতিবন্ধি দুই ভাই ইয়ামিন ও জিহাদ হামাগুড়িদিয়ে আমাকে বাচাতে এগিয়ে এলে তাদেরকেও প্রতিপক্ষরা পিটিয়ে ও পা দিয়ে মারিয়ে আহত করে। এবিষয়ে শুক্রবার রাতে বিচারের দাবিতে মোঃ শাহাদাত মৃধা বাদি হয়ে রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এবিষয়ে প্রতিপক্ষ মোঃ এনায়েত মৃধার ছেলে নাইম তাদের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, বাকবিতন্ডার একপর্যায় রিমা ইটদিয়ে আমার মা জাহানারা বেগমের (৫০) মাথা ফাটিয়ে গুরুতর আহত করেছে এবং আমকেও লাঠিদিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। আমার মাকে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এবিষয়ে রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, আমি এবিষয়ে কিছুই জানিনা। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

কাঠালিয়া বার্তা’য় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : মোবাইলঃ ০১৮৪২২৫৩১২২












All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana