সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে মৃত ব্যক্তির মৃত্যু সনদে মৃত্যুর তারিখ নির্ধারণকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারী সহ ৮ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (১৬ জানুয়ারী) দুপুরে আহতদের মধ্যে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকা সেকেন্দার আলী খান স্থানীয় সাংবাদিকদের এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তার দাদা শশুর উপজেলার গালুয়া দুর্গাপুর এলাকার মৃত. মুজাহার আলী হাওলাদারের মৃত্যুর সঠিক তারিখ না দিয়ে মৃত্যু সনদ চেয়ে গালুয়া ইউপিতে আবেদন করেন মৃত. ব্যক্তির ভাতিজা (ভাইয়ের ছেলে) শামিম হাওলাদার। এটা শুনে সেকেন্দার খান তার দাদা শশুরের মৃত্যুর তারিখ সঠিক নয় বলে আপত্তি জানিয়ে একই ইউপি চেয়ারম্যানের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান মৃত ব্যক্তির সঠিক মৃত তারিখ নির্ধারন করতে স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের পশ্চিম গালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে উপস্থিত থাকতে নোটিশ করেন। নোটিশ মতে ১৩ জানুয়ারি বিকালে স্থানীয় লোকজনসহ সেকেন্দার আলী ও তার চাচা শশুর শামিম স্কুলে উপস্থিত হয়। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সেকেন্দার আলী খান সন্ধ্যার পরে বাড়ির দিকে রওয়ানা দিলে প্রতিপক্ষ শাহ আলম, শামিম হাওলাদার ও দুলাল সহ ২০/২৫ লোক দেশীয় অ¯্র সহ আমার উপর হামলা চালায়। এ সময় সেকেন্দারকে বাচাতে এলে পথরোধকারীরা তাদের উপড়ও হামলা চালায়। এতে সেকেন্দার আলী খান (৭২) সহ তার ছেলে ইব্রাহিম (২৭), ইমরান (২৫), গোফরান (৩০) ও রিয়াদ খান (১৮), শ্যালিকা হামিদা বেগম (৪০) ও তার স্বামী মজিবর (৫২) ও মীর মন্ট (৪৭) আহত হন। এদের মধ্যে ইব্রাহিম খান ও ইমরান খান গুরুতর আহত হওয়ায় তারা বর্তমানে বরিশাল সেবাচিমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেকেন্দার ও হামিদা বেগম রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সেকেন্দার আলী আরও অভিযোগ করে বলেন, তার চাচা শশুর শাহ আলম, শামিম ও দুলাল এর আগেও জমি নিয়ে বিভিন্ন সময় বিরোধ চালিয়ে আসছে। এ বিষয়ে সেকেন্দার আলী খান বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে দুলাল অভিযোগ অস্বিকার করে জানান, সেকেন্দার ও তার লোকজন উল্টো আমাদের উপড় হামলা চালায়।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।