শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ইউনিয়ন বিএনপির দুই নেতার চাঁদা নেওয়ার সংবাদ প্রকাশের পর তদন্ত কমিটি গঠন মোমবাতি জ্বালিয়ে পড়ার সময় অ’গ্নি’দ’গ্ধ হয়ে কলেজ ছাত্রীর মৃ’ত্যু হাসপাতালে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকের নামে মিথ্য মামলা কাঠালিয়ায় যে প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পাশ কাঠালিয়ায় সাংবাদিক ফারুক হোসেন খানের ছেলে রাফি পেলেন জিপিএ-৫ ঝালকাঠি জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ছাত্রশিবিরের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন ঝালকাঠিতে টাস্কফোর্স টিমের অভিযান, দু’জন ব্যবসায়ীকে জরিমানা কাঠালিয়ায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১ শিক্ষার্থী পুকুর পাড়ের কাঁচা ঘাস খেয়ে মা’রা গেল খামারির ৬টি গরু ঝালকাঠিতে জমজমাট ভাসমান আমড়ার হাট
মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ, কৃষকের মুখে হাসি

মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ, কৃষকের মুখে হাসি

সাইদুল ইসলাম, রাজাপুর:

ঝালকাঠির রাজাপুরে দিগন্ত জোড়া মাঠে সরিষার হলুদ ফুলে কৃষকের স্বপ্ন রঙিন হয়েছে। চারদিকে সরিষার ক্ষেত যেন বাতাসে দুলছে। আর এ কারনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক। যেমনি সরিষার বাম্পার ফলন তেমনি ফুলের মধু গ্রামীন অর্থনীতিতে সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার বামনকাঠি এলাকায় মাঠজুড়ে সরিষা ক্ষেত। যতদুর চোখ যায় হলুদ গাদা ফুলের ন্যায় সুসাজে সজ্জিত ফসলের মাঠ। কৃষক অক্রান্ত পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মাটি চষে ফসল ফলায়।

কৃষক চাষ শেষে আশায় বুক বেধে চেয়ে থাকে মাঠের পানে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে চলতি মৌসুমে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে মোট ৭১ হেক্টর জমিতে বিনা- ৮, বারি ১৪, ১৫ ও ১৭ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুন। এবারে হেক্টর প্রতি ২০-২২ মণ সরিষা উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অফিস। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে শুধুই যেন হলুদের সমারোহ সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে বামনকাঠির দিগন্ত জোড়া মাঠ। ক্ষেতে গুন গুন করছে মৌমাছি। সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত মৌমাছির ঝাঁক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার চাষীরা।

উপজেলার বামনকাঠি এলাকার চাষী আ: আজিজ হাওলাদার বলেন, স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষা চাষে অধিক মুনাফা থাকায় কয়েক বছর যাবৎ সরিষার আবাদ করছি। এ বছরেও প্রায় ৬৫ শতাংশ জমিতে এ লাভ জনক ফসলটি আবাদ করেছি।

একই এলাকার কৃষক খলিল হাওলাদার বলেন, প্রতিবছরই তারা এখানে সরিষা আবাদ করে থাকেন কাছাকাছি পানির ব্যবস্থা না থাকায় জমিতে সেচ দিতে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। তাই তিনি সেচের ব্যবস্থার দাবী জানান সরকারের কাছে।

কৃষক সাকায়েত বলেন, সরিষা চাষে সার কম প্রয়োগ করতে হয়। সেচ, কীটনাশক ও নিড়ানি তেমন লাগে না। একেবারই খরচ কম ও অল্প সময়ে এ ফসল ঘরে তোলা যায়। বর্তমান বাজারে দামও ভাল।
উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সরিষার রোগ বালাই দমনে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ বছরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজ উল্লাহ বাহাদুর বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে চাষিদের সার, বীজ ও কীটনাশক সহ আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার আবাদ থেকে কৃষকরা বাড়তি মুনাফা আয় করতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

কাঠালিয়া বার্তা’য় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : মোবাইলঃ ০১৮৪২২৫৩১২২












All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana