রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
কেন্ত্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক শিল্প ও খাদ্য মন্ত্রী এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপত্র, ঝালকাঠি-২ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যারা সেদিন ক্ষমতায় এসেছিলেন, তারা চেয়ে ছিলেন একটি নব্য পাকিস্তান। পাকিস্তানের সাথে ষড়যন্ত্র করেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো। জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিলো। এবং সেই পথেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মূল্যবোধকে হত্যা করে, তারা নব্য পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য সাম্প্রধায়িকতার উস্কানি দিয়ে সেই পথেই হাঠছিলো। ১৯৯৬ সালে যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না আসতো এবং পরবর্তীতে যদি তিন বার ক্ষমতায় না থাকতেন তবে আজকে কিন্তু এদেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধ ঘুড়িয়ে দেয়া হতো। ওই সমস্ত সরকার যা শুরু করে ছিলো এবং যারা এই দেশের যুদ্ধ অপরাধী, যারা এই দেশের গণহত্যাকারী, নারী নির্যাতনকারী, অগ্নিসংযোগকারী, মানবতাবিরোধী তাদের সাথে ভোট করা, তাদের সাথে সরকার গঠন করা, তারা থাকতো যদি ক্ষমতায় তাহলে এদেশে চিত্র কিন্তু আজকে পরিতর্বন থাকতো।
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গত বুধবার রাতে উপজেলার আওরাবুনিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্তৃতিক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এই ক্ষমতা ধরে রাখার দায়িত্ব কিন্তু আমাদের সকলের । আপনারা যারা উপস্থিত যারা উপস্থিত হতে পারেননি। আজকে আপনাদেরই হিসাব নিকাশের পালা। আজকে আপনারা এই জনগন কেন আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে? আজকে ভোট দিবে এই কারণে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে কমপক্ষে ১৫শ ভাতা ভোগী আছে, তাদের পরিবার আছে। এই ১৫শ ভাতা ভোগী শেখ হাসিনা বানিয়েছেন। আজকে গ্রামে কোন অভাব নেই। আজকে গ্রামে মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করে। সব জিনিস আজকে মানুষের দুয়ারে পৌছে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে পৌছে দেওয়া হয়েছে। আজকে প্রাইমারী স্কুল জাতীয় করন করে শিক্ষার ধার উন্মোচিত করা হয়েছে।
উপজেলা আওমী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবুর রহমান উজির সিকদারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন (ভার্চুয়ালী) কেন্ত্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক শিল্প ও খাদ্য মন্ত্রী এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপত্র আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু. এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট এম এম জলিল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সাধারন সম্পাদক বাবু তরুন কর্মকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. এমাদুল হক মনির, জেলা ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম পারভেজ। বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা খানম, আওরাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিঠু সিকদার প্রমুখ।