সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আশা করছি, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হলে নির্ধারিত সময়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আমরা নিতে পারবো। গত এক সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণের হার কমছে। কিছুদিন আগেও সংক্রমণের হার ছিল ৩০-৩২ শতাংশ। এখন তা কমে ২২-২৩ শতাংশে নেমে এসেছে। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে আমরা আশা করছি, নভেম্বরের মাঝামাঝি এইচএসসি এবং ডিসেম্বরের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা নিতে পারবো। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। টিকা কর্যক্রমও চলছে।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। এ জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমও চলছে। আমরা আশা করছি, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হলে নির্ধারিত সময়ে এ দুটি পরীক্ষা আমরা নিতে পারবো। নির্ধারিত সময়ে করোনা পরিস্থিতি যদি অনুকূলে না আসে সেক্ষেত্রে গত বছরের মতো এবারও সাবজেক্ট ম্যাপিং করে শিক্ষার্থীদের ফল দেওয়া হবে। তবে আমরা পরীক্ষা নিয়েই ফলাফল দিতে চাই।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির যেন ঘাটতি না হয় সেজন্য শিক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস সেভাবেই সাজানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় টিকা কার্যক্রমও চলছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা.দীপু মনি বলেন, আগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে জানার তেমন চর্চাই ছিল না। অথচ খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠার সকল সংগ্রামের নেপথ্যে যে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধু তার জীবনের ৪০ ভাগ সময় জেলে, ৪৮ ভাগ সময় সাংগঠনিক কাজে এবং মাত্র ১২ ভাগ সময় পরিবারে কাটিয়েছেন। বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সংসার চালিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর মামলা চালিয়েছেন পাশাপাশি পুরো আওয়ামীলীগই ছিল বঙ্গমাতার পরিবার। ইতিহাসের খুব গুরত্বপূর্ণ সময়ে বঙ্গমাতার ভুমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ঘটনাকে সামাজিকভাবে বৈধতা দেওয়ার জন্য দশকের পর দশক অপ্রপ্রচার চালানো হয়েছিল। ঘাতকরা জানত বঙ্গবন্ধু কোন ব্যাক্তি নয় তিনি একটি আদর্শ। তারা এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে শুধু সরকার পতনই নয় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের চরিত্রকে পাল্টে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানি স্টাইলের একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিলেন। তাই তারা বঙ্গবন্ধুকে নির্বংশ করতে চেয়েছিল। ঘাতকদের সব ষড়যন্ত্রকে মিথ্যা প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে সারাবিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিত করিয়েছেন।
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়াসহ অনেকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সব অর্জনের প্রেরণাদায়ী ছিলেন বঙ্গমাতা। আড়ালে থেকে বঙ্গবন্ধুকে সৎ পরামর্শ দিতেন বঙ্গমাতা। বঙ্গমাতার পরামর্শেই বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হত। বঙ্গবন্ধুর মত বঙ্গবন্ধু কন্যাও এ দেশটাকে ভালোবাসেন। তাই বাংলাদেশ আজ ধীরে ধীরে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব যদি জেল খানায় কিছু কাগজ ও কলম না দিতেন তাহলে আমরা আজ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পেতাম না। আমরা জানি বঙ্গবন্ধুর সময় দেশে দূভিক্ষ হয়েছিল যা সত্য নয়। বিশ্ব ব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী ঐ সময় দেশের জিডিপি ছিল ৯ শতাংশ। যা আমরা এখনো অর্জন করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় প্রজন্ম আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও হাউজ অফ কমন্সে রয়েছে।