শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠিতে ৫ম দিনেরমত উদ্ধার অভিযান চলছে। সকাল থেকেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সুগন্ধা ও বিষখালি নদীতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। সকালে ঝালকাঠির লঞ্চঘাট এলাকার সুগন্ধা নদী থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে নিহতের সংখ্যা দারালো ৪৩ জনের।
অপরদিকে নিখোঁজ যাত্রীর এক স্বজন ঢাকা ডেমরা এলাকার খলিলুর রহমানের পুত্র মনির হোসেন এর ঝালকাঠি সরদ থানায় করা মামলায় লঞ্চের মালিক, চালকসহ আটজন ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজন মনির হোসেন মামলাটি করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি সদর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি অপারেশন) মো. মালেক। তিনি জানান, ঢাকা ডেমরা এলাকার মনির হোসেনের অভিযোগ মামলা হিসেবে নেয়া হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ, লঞ্চে থাকা দুই মাস্টার রিয়াজ সিকদার ও মো. খলিল, দুই ড্রাইভার মো. মাসুম ও কালাম, সুপারভাইজার মো. আনোয়ার, সুকানী আহসান এবং কেরানী কামরুল। লঞ্চ মালিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি সদর থানায় ২৮০,২৮৫,২৮৭ এবং ৩০৪-ক,১০৯ পেনাল কোর্ট ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, রাতে লঞ্চের ইঞ্জিনে যখন ত্রুটি দেখা দেয়, তখনও লঞ্চের স্টাফরা যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া তুলতে থাকেন। লঞ্চটির নিচতলার পেছনের অংশে থাকা ইঞ্জিন রুমে যখন আগুন ধরে যায় তখন চালক ও স্টাফরা যাত্রীদের বাঁচাতে লঞ্চ তীরে ভেড়ানো বা নোঙ্গর করার চেষ্টাটুকুও করেননি। বরং নিজেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে পালিয়েছেন। মামলায় লঞ্চটিতে নিরাপত্তা সামগ্রীর ঘাটতির কথাও উল্লেখ করা হয়। ঝালকাঠিতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় ২৫ ডিসেম্বর একই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। এ ছাড়া একটি মামলা হয় রাজধানীর মতিঝিলের নৌ আদালতে। সে মামলায় লঞ্চের মালিক হামজালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, মনির হোসেনের বোন তাছলিমা, বাগনি সুমাইয়া, তানিসা ও সুমনা এবং ভাতিজা জুনায়েত ইসলাম নিখোঁজ রয়েছে। লঞ্চঘাট এলাকায় উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জানান, মরদেহটি পুরুষের এবং তার বয়স হবে ৩০/৩২। সন্ধা পযর্ন্ত ফায়র সার্ভিসের কর্মীরা অভিযান চালাবে বলে তিনি জানান। এখনও স্বজনদের আহাজারী এবং নিখোঁজদের খোজে অপেক্ষা করছেন সুগন্ধ্যার তীরে। এদিকে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বরগুনার জেলা প্রশাসন থেকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী এখনো নিখোঁজ আছেন ৩৩ জন। এদিকে ঝালকাঠি যুব রেড ক্রিসেন্টের তালিকা অনুযায়ী নিখোঁজ রয়েছেন ৫১ জন। আর ঝালকাঠি জেলা পুলিশের তালিকায় নিখোঁজ আছেন ৪১ জন।