সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা মৎস্য অফিসের দেশীয় শামুক ও ঝিনুক রক্ষা প্রকল্পের মাঠ সহায়ককে নিয়মিত উৎকোচ দিয়ে সুগন্ধা নদীতে ইলিশ নিধন করছে জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে অসাধু মৌসুমী জেলেদের সাথে যোগসাযস করে মাঠ সহায়ক আরিফ সিকদার কামিয়ে নিচ্ছে নগদ অর্থ এবং জাটকা ইলিশ।
নলছিটি উপজেলা মৎস্য অফিসের এক কর্মচারী বলেন, অসাধু জেলেদের নামের তালিকা করে তাদের সাথে লিয়াজো করেছে ঐ মাঠ সহায়ক আরিফ। এতথ্য অনেক জেলেরাও স্বীকার করে বলেন, ‘আরিফের সাথে বিনিময় চুক্তি করে অসাধু জেলেরা জাটকা ধরছেন।’
পেশাদার জেলেদের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাহলো, প্রতিদিন নগদ ২ হাজার টাকা এবং ৫ কেজি করে ইলিশ দিয়ে সারারাত সুগন্ধা নদীতে কারেন্ট জাল ফেলে ইলিশ নিধন করা হচ্ছে।
নলছিটি এলাকার মগড় গ্রামের জেলে নজরুল ইসলাম, এনায়েত শরীফ, মো. রুবেল এবং মিরাজ হোসেন বলেন, ‘নলছিটি উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মচারী আরিফ শিকদার নিষেধাজ্ঞা চলাকালে অনেকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ২ হাজার করে নগদ টাকা এবং ৫ কেজি করে ইলিশ মাছ নিয়েছে।
জানা গেছে নলছিটি উপজেলার কুশংগল ইউনিয়নের সরমহল গ্রামের এম এ সামাদের ছেলে আরিফ সিকদার ২০২১ সালে ৪ বছর মেয়াদি দেশীয় শামুক ও ঝিনুক রক্ষা প্রকল্পের মাঠ সহায়ক হিসেবে চাকুরী নেন।
অভিযুক্ত আরিফ সিকদার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অসাধু কিছু জেলেরা যে অভিযোগ করেছে তা পুরোপুরি মিথ্যো ও বানোয়াট। অসাধূ জেলেরা অবৈধ সুবিধা না পেয়ে এমন অভিযোগ করেছে।’
নলছিটি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রমনী কুমার মিস্ত্রী বলেন, এ বিষয় আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ আসলে এবং অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঝালকাঠি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমি টাকা ও মাছ নেওয়া বিষয়টি শুনেছি। ওখানের জেলেদের ৪টি নৌকা জব্দ করা হয়েছে। সে যদি টাকা নিতো তাহলে কেন আবার নৌকা জব্দ করবে। তবে সবাই যে ভালো এমন না। বাংলাদেশ বিভিন্ন স্থানে কম বেশি এমন ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে দেখবো।