মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৭ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির রাজাপুরে বিআরটিসি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুটি ও গাছের সাথে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে সুপার ভাইজারসহ ২জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় বাসের অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে এবং আধা ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শুক্রবার (২৪মার্চ) সকাল পৌনে ১০টায় ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজাপুর উপজেলার কানুদাশকাঠি এলাকায় বিআরটিসির একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনা কবলিত হয়। বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে বরগুনা জেলার পাথরঘাটার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো বাসটি। এতে ঐ বাসের সুপারভাইজার বরিশাল জিয়া সড়কের বাসিন্দা আব্দুল লতিফ মৃধার ছেলে মেহেদী হাসান হানিফ এবং যাত্রী মো. পাভেল সহ দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। নিহত যাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে আহত হয়েছে বাসটির চালকসহ অন্তত ১৫ জন যাত্রী। আহতরা হলেন, বাস চালক সাবু মোল্লা, যাত্রী সাথী আক্তার, ইমরান হোসেন ইমু, মোমেনা বেগম, মোসাম্মৎ তানজিলা, অমল দেবনাথ, মন্টু হাওলাদার, শহিদুল খান, রাহুল হোসেন, জাহানারা বেগম, কবির মোল্লা, কাওছার হোসেন এবং রিতা দেবনাথ।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়রা উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। আহত যাত্রীদের মধ্যে গুরুতর দু’জনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিদেরকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে নিহত হওয়া সুপারভাইজার এবং যাত্রীর মরদেহ রাজাপুর থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই দুর্ঘটনার কারন হিসেবে বাসের স্টাফদেরকে দায়ী করছেন আহত হওয়া বেশিরভাগ যাত্রীরা। বাসে থাকা পাথরঘাটার বাসিন্দা লোকমান বিশ্বাস, আম্বিয়া খাতুন, পিরোজপুরের মনির হোসেন, বরিশালের এমদাদুল হকসহ অনেকেই বলেন, সকালে গাড়িটি ছাড়ার পর থেকেই চালক, সুপার ভাইজার এবং হেলপার তিন জনে তুচ্ছ ঘটনায় তর্ক শুরু করে। বরিশাল থেকে গাড়ি ছাড়ার পর দুর্ঘটনাস্থল পর্যন্ত চার দফায় তারা ঝগড়া করে। চালক গাড়িটিও চালাচ্ছিলেন বেপরোয়া গতিতে।
প্রত্যাক্ষদর্শী ভ্যাননচালক ইউসুফ সরদার বলেন, রাজাপুরে কানুদাসকাঠি নামক জায়গায় বিআরটিসি বাসটি দ্রুতগতিতে এসে বৈদ্যুতিক খুটি ও গাছের সাথে মেরে পাশের খাদে পড়ে যায়। তারপর স্থানীয়রা উদ্ধার শুরু করে। কিছুক্ষনের মধ্যে পুলিশ আর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, ঘটনাস্থলেই সুপার ভাইজার ও এক বাস যাত্রী নিহত হন এবং অন্তত ১৫ জন যাত্রী আহত হন। দুর্ঘটনায় যান চলাচল বন্ধ হলে পুলিশ তাৎক্ষনিক যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। লাশের ময়না তদন্ত এবং দুর্ঘটনার কারন খতিয়ে দেখাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।