রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন

ঝালকাঠিতে তরমুজের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

ঝালকাঠিতে তরমুজের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

“রাজাপুরে ১শ’ ২০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ, বিঘা প্রতি ২লক্ষাধিক টাকা বিক্রির আশা”

ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালী নদীর চর এলাকাজুড়ে প্রায় ১শ’ ২০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। চর এলাকার কৃষকরা তরমুজ বিক্রি করতে শুরু করেছে। তারা দামও পাচ্ছেন ভালো।

তরমুজ চাষি নুরুল হক, জলিল মোল­া, মনির মোল­া, কাঞ্চন মোল­া সেফাতেসহ একাধিক কৃষক জানান, প্রায় তিনমাস আগে উপজেলার পূর্ব প্রান্তে বিষখালি নদীর চর এলাকাজুড়ে ২০ জন কৃষক মিলে ১শ’ ২০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়।

এবছর আদৌ বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তারপরেও সেচ পাম্মের দ্বারা পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবছর প্রতি বিঘা জমিতে শ্রমিক, ঔষধ ও সেচ খরচসহ প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে যে ফলন হয়েছে তাতে ১লক্ষ ৮০ হাজার থেকে ২লক্ষাধিক টাকার তরমুজ বিক্রি করা যাবে বলে তারা আশা করছেন।

তরমুজ চাষি নুরুল হক আরো জানান, তরমুজ বিক্রির সময় হওয়ায় রাজাপুর সদরের হাট বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসাযীদের সবাইকে খেত থেকে তরমুজ কিনে নিতে বললেও তারা তরমুজ কিনতে ক্ষেতে যায়নি। তারা কৃষকদের জিম্মি করে খুব সস্তায় তরমুজ কেনার আশায় বসে ছিলেন। কিন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় কয়েকজন কৃষক মিলে গাড়ি ভাড়াকরে তরমুজ ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করছেন। ঢাকায় প্রতি কেজি তরমুজ ৪০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করছেন। প্রতিটি তরমুজ ৪ থেকে ৮ কেজি ওজন রয়েছে। কোন কোন তরমুজে এর চেয়ে বেশি ওজনও হচ্ছে। এতে কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছেন। এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ভালো দাম না দিলে কৃষকরা এলাকায় তরমুজ বিক্রি করবেন না বলে তিনি জানান।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসা. শাহিদা শারমিন আফরোজ বলেন, আবহাওয়া ভাল থাকলে এ বছর উপজেলায় মোট ৩৫ হেক্টর জমিতে ১ হাজার থেকে ১১শ, ৫০ টন তরমুজ উৎপাদিত হবে।

 

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

সম্পাদকীয় কার্যালয়: কাঠালিয়া বার্তা
কলেজ রোড, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি।
মোবাইল: 01774 937755









Archive Calendar

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  




All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana