মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন
রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সুরুর ভাই সাবেক ইউপি সদস্য শাহজালাল সানুর বিরুদ্ধে নিজামিয়া এলাকায় প্রবহমান খাল বাঁধ দিয়ে আটকিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিজামিয়া, চর উত্তমপুর সহ তিন গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবারের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দীর্ঘদিন পানি চলাচল না করতে পারায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ওখানকার পুকুর ও ডোবার পানি থেকে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নারী ও শিশুরা। দীর্ঘদিন পানি আটকে থাকায় স্থানীয় কৃষক সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের মনে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় মো. ইদ্রিস আলী, কবির হোসেন, আবুল কালাম, চান মিয়া, কহিনুর বেগম ও বেলায়েত হোসেন জানান, মাঠ শুকনো রেখে পৌষের ধান কাটা ও রবি শস্য ফলানোর জন্য প্রতিবছর অগ্রহায়ন মাসে স্থানীয় সকলের কাছ থেকে টাকা (চাঁদা) তুলে শাহজালাল সানু লেবার দিয়ে খালে বাধ দেয় এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিকে সে বাধ কেটে দেওয়া হয়। কিন্তু শাহজালাল সানু এ বছর কোন ক্রমেই সে বাধঁ কেটে দিবেনা এমনকি কাউকে কাটতেও দিবে না। সে ওখানে মাছ চাষ করবে বলে জানান তারা। তারা আরও জানান, গত সপ্তাহে বাধঁ কাটতে গেলে সানুসহ তার লোকজন তাদের (আমাদের) উপর চড়াও হয় এবং বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে।
স্থানীয়রা আরও জানান, বাঁধের কারনে দীর্ঘদিন পানি আটকে থাকায় প্রতিটি পুকুর ও ডোবার পানি পচেঁ গেছে। গোসল, রান্নার কাছে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এ পানি। এতে ডায়রিয়া, চর্মরোগ ও এলার্জি সহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকাবাসী। এছাড়াও আমন ধানের বীজতলা তৈরী নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য শাহজালাল সানু জানান, স্থানীয় সকলে মিল্ েএ বাঁধ দেয়া হয়েছে এবং সকলে মিলেই আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এটা কেটে দেয়া হবে। এছাড়াও তাদের ওখানে পানি আসা যাওয়ার জন্য অন্য একটি খাল রয়েছে। সেখান থেকে পানি আসা যাওয়া করে।
বড়ইয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সুরুর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বাঁধ কেটে দেওয়া হবে সমস্যা নাই তবে সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদ সাহেব তার বাড়ির ওখানে আমাদের নিজস্ব জমি ও ইউনিয়ন পরিষদের জমি দখল করে রেখেছে এবং সেখানেও বাঁধ দিয়ে রেখেছে সেটা আগে কেটে দেয়া হোক।
রাজাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার ববি জানান, “বিষয়টি আমরা শুনেছি এবং খুব দ্রæতই বাঁধ কেটে দেয়ার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।”