শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার কচুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. সুজন ঘরামীকে হত্যাকারীর বিচারের দাবীতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঘন্টা রাজাপুর-কাঠালিয়া সড়কের কচুয়া বাজার ভূমি অফিসের সামনে ব্যাপী এ মানববন্ধনের আয়োজন করে কচুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তার সহকর্মী, ছাত্র-ছাত্র ও এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জেলা পরিষদ সদস্য এস.এম. আমিরুল ইসলাম লিটন, সমাজ সেবক মো. মনিরুল ইসলাম রুঙ্গু, শৌলজালিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল, ইউপি সদস্য এইচ.এম. নাসির উদ্দিন আকাশ, মহিলা ইউপি সদস্য মোসাঃ শাহানাজ পারভীন, শিক্ষক শামিম আহম্মেদ, মো. মনিরুজ্জামান, শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তাসনুবা, মারিয়া আক্তার, ফারজানা আক্তার, সাকিবা আক্তার, ইয়াতির বিন আমিরুল, মুহিত হোসেন বাপ্পা, রিয়াদুল, মিরাজ, সমাজ সেবক মো. মোশাররফ হোসেন, মো. সফিকুল ইসলাম আশ্রাব খান, তোফাজ্জেল খলিফা প্রমূখ। বক্তারা কচুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. সুজন ঘরামীর হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। তা না হলে পরবর্তিতে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন। মানববন্ধন শেষে বিদ্যালয়ের হলরুমে সুজন ঘরামীর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৭মার্চ) সকলে উপজেলার তারাবুনিয়া বাজারে সোহরাফ হোসেনের চায়ের দোকানের সামনে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশী জাকির মৃধা ও তাদের লোকজনের অতর্কিত হামলায় একই গ্রামের আঃ মালেক ঘরামীর ছেলে কচুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক(কৃষি) সুজন ঘরামী(৩০), তার ছোট ভাই শাহীন ও বাবা আঃ মালেক গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে সুজন ঘরামীকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র (আমুয়া), বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সুজন ঘরামী।