রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় বিনা-১৭ জাতের ধানচাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। নতুন জাতের এ ধান চাষে সার, পানি যেমন কম লাগছে তেমনি কাটাও যাচ্ছে বেশ আগেই। স্বল্পমেয়াদী জীবনকাল, সার-পানি সাশ্রয়ী, উন্নত গুণাগুণ সম্পন্ন ও খরাসহিষ্ণু হওয়ায় কৃষকের মাঝে আশার আলো জাগিয়েছে বিনা-১৭ জাতের ধান।
শনিবার সকালে থেকে উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের ছোনাউটা গ্রামের বিনা-১৭ জাতের আমন ধান কাটা শুরু করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ৬টি ইউনিয়নে এবার কমবেশি বিনা-১৭ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এ জাতের ধানে পানি কম লাগে এবং ধানচাষে ইউরিয়া সার এক-তৃতীয়াংশ ও সেচ ৫০ শতাংশ কম লাগে। ধানের জীবনকাল ১১০-১১৫ দিন। এর প্রতি শীষে ২০০-২৫০টি দানা থাকে এবং ফলনও ভালো হওয়ায় কৃষকের জন্য এ জাতের ধান চাষ খুবই লাভজনক। অন্যান্য ধানের তুলনায় আবাদেও খরচ কম হয়। ধান কাটার পর একই জমিতে রবিশষ্য চাষ করা যায়।
ছোনাউটা গ্রামের কৃষক মো. হাকিম মল্লিক জানান, বিনা-১৭ জাতির আমন ধান ৩৩শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। এ জাতের ধান চাষ করে ফলণও ভালো পেয়েছি। আশা করি লাভবান হতে পারবো। আগামিতে আরো বেশি জমিতে বিনা-১৭ জাতের ধান চাষ করবো। এ জাতের ধান চাষ লাভজনক এবং কৃষকদের আশার আলো দেখাচ্ছে। অনেকেই এখন এ ধান চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। এই প্রজাতির ধানটা যদি একটু আগাম চাষ করা যায় তবে রবিশষ্য চাষ করতে কোন সমস্যা হবে না।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বশির জনান, আমুয়া ইউনিয়নের ছোনাউটা বøকে বিনা-১৭ জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। বিনা-১৭ জাতের ধান চাষ করে কৃষকরাও লাভবান হয়েছেন। এ জাতের ধানের বীজ সংগ্রহ করে আগামীতে চাষীরা অধিক যায়গায় এই ধান চাষ করবেন।