সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৭ অপরাহ্ন
মোঃ শহীদুল আলম:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় মুসলিম পরিচয়ে প্রতারণা করে তৃতীয় লিঙ্গেরসহ একাধিক মুসলিম নারীকে বিয়ে করা চিনহিত মাদক ব্যবসায়ী মিঠু চন্দ্র বেপারির দায়েরকৃত বিএনপি’র একাধিক নেতার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ও মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগীরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে কাঁঠালিয়া প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মামলার অভিযুক্ত ঝালকাঠি জেলা কৃষক দলের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী মোঃ শহিদুল ইসলাম।
লিখিত বক্তবে তিনি জানান, উপজেলা শৌলজালিয়া ইউনিয়নের উত্তর কৈখালী গ্রামের কাঠ মিস্ত্রীর বিজয় বেপারীর ছেলে চিনহিত প্রতারক ও মাদক ব্যবসায়ী মিঠু চন্দ্র বেপারী(৪৫) নিজ ধর্ম পরিচয় গোপন রেখে প্রথম স্ত্রী-সন্তান ঘরে থাকা সত্তে¡ও প্রতারণার মাধ্যমে একজন তৃতীয় লিঙ্গেরসহ ৩জন মুসলিম নারীকে বিবাহ করেন। তিনি হিন্দু ধর্ম পরিচয় গোপন রেখে মুসলিম সেজে ইসলাম ধর্মের এ নারীদের বিবাহ করে অর্থকড়ি ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে কিছুদিন পরে বিভিন্ন অজুহাত ও নির্যাতনের মাধ্যমে এদেরকে বিতরিত করেন। গত ৫/৬ বছর পূর্বে কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া গ্রামের কাজল নামে এক নারীকে ও ঢাকার অপর এক গার্মেন্টস শ্রমিককে বিয়ে করে। মিঠু চন্দ্র বেপারী সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের পূর্ব মেড্ডা (শান্তিবাগ) এলাকার মোঃ ইউনুস মিয়ার মেয়ে তাসলিমা বেগমকে নিজেকে মুসলিম পরিচয়ে ৪ চতুর্থ বিবাহ করেন। গত ২৪ জানুয়ারী ২০২৫ মিঠু ও তার পিতা বিজয় বেপারী তাসলিমা বেগমকে ধর্মন্তারিত হওয়ার জন্য বেধম মারধর ও মানুষিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে নির্যাতিতা তাসলিমা বেগম স্থানীয় বিনাপানী বাজারের এসে গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের কাছে তার স্বামী ও শ্বশুরের বিচার দাবি করেন এবং সকলের সামনে তওবা করে পূনরায় কলেমা পড়ে মুসলিম হয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে এবং নিজকে রক্ষার্থে চলিত বছরের মার্চ মাসে মিঠু চন্দ্র বেপারী বাদী হয়ে ঝালকাঠি জেলা কৃষক দলের যগ্ম সাধারন সম্পাদক ব্যবসায়ী ও মোঃ শহিদুল ইসলাম, শৌলজালিয়া ইউনিয়ন যুব দলের সাবেক সভাপতি মোঃ সেলিম সরদার, ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এমদাদুল সিকদার, উপজেলা তাতি দলের সাধারণ সম্পাদক শিশির হাওলাদার, ৪৯ নং বিনাপানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী মোঃ মইনুল হাওলাদার, নেয়ামতি ডিগ্রি কলেজের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক অসীম হাওলাদার, কৃষক বাবুল শরিফ ও ওয়াদুদ মুন্সীর বিরুদ্ধে ঝালকাঠি আদালতে চাঁদাবাজী মামলা করেন। বর্তমানে সকল আসামীরা জামিনে রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো দাবী করা হয়, মিঠু চন্দ্র বেপারী কয়েক বছর আগেও এলাকায় কাঠ মিস্ত্রীর কাজ করতো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে সে মাদক ব্যবসা ও মুসলিম পরচয়ে প্রতারণা করে একাধিক মুসলিম নারীকে বিবাহ, চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়েন। গড়ে তোলেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে মাদক কারবারের সিন্ডিকেট। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় মাদক ও প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে এবং বহুবার হাজতবাস করেছেন। বর্তমানেও মামলাগুলো চলমান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপি’র নেতারা মাদক ব্যবসায়ী প্রতারক মিঠুর ব্যাপারীর দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার অব্যহতি পাওয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহীনি ও আইন উপদেষ্টার কাছে দাবি জানিয়েছেন।