শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ইউনিয়ন বিএনপির দুই নেতার চাঁদা নেওয়ার সংবাদ প্রকাশের পর তদন্ত কমিটি গঠন মোমবাতি জ্বালিয়ে পড়ার সময় অ’গ্নি’দ’গ্ধ হয়ে কলেজ ছাত্রীর মৃ’ত্যু হাসপাতালে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকের নামে মিথ্য মামলা কাঠালিয়ায় যে প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পাশ কাঠালিয়ায় সাংবাদিক ফারুক হোসেন খানের ছেলে রাফি পেলেন জিপিএ-৫ ঝালকাঠি জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ছাত্রশিবিরের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন ঝালকাঠিতে টাস্কফোর্স টিমের অভিযান, দু’জন ব্যবসায়ীকে জরিমানা কাঠালিয়ায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১ শিক্ষার্থী পুকুর পাড়ের কাঁচা ঘাস খেয়ে মা’রা গেল খামারির ৬টি গরু ঝালকাঠিতে জমজমাট ভাসমান আমড়ার হাট
কাঁঠালের গুনাগুণ ও পুষ্টি উপাদান! কেন আপনি কাঁঠাল খাবেন!

কাঁঠালের গুনাগুণ ও পুষ্টি উপাদান! কেন আপনি কাঁঠাল খাবেন!

কাঁঠালের গুনাগুণ ও পুষ্টি উপাদান! কেন আপনি কাঁঠাল খাবেন!

কাঁঠাল

কাঁঠাল আমাদের দেশের জাতীয় ফল। এর ইংরেজী নাম হচ্ছে ( Jack fruit ) । বাংলাদেশের সব স্থানেই কম- বেশি কাঁঠাল পাওয়া যায়। বসন্ত ও গ্রীস্মের প্রথমে কাঁচা অবস্থায় এবং গ্রীস্ম ও বর্ষায় পাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ফলটি আকারে বেশ বড় হয়ে থাকে। এর পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক। এর বিরাটাকায় আকৃতি, রসালো কোষ ও চমৎকার স্বাদ-গন্ধের জন্য ফলটি খুবই জনপ্রিয়। কাঁঠালের ৪-৫ কোয়া থেকে ১০০ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি পাওয়া যায়। এর হলুদ রঙের কোষ হচ্ছে ভিটামিন ‘এ’ সমদ্ধ। ২-৩ কোয়া কাঁঠাল আমাদের এক দিনের ভিটামিন ‘এ’ এর চাহিদা পূরণ করে। গুণগত কিংবা ব্যবহারিক দিক থেকেও কাঁঠাল অপরাপর বিদেশি ফলের চেয়ে উপকারি।

কাঁঠালের ত্বক কাটা কাঁটা এবং অমসৃণ। ফলটিতে রয়েছে চমৎকার স্বাদ ও সুগন্ধের পাশাপাশি মানব শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নানাবিধ পুষ্টিগুণ। কাঁঠালে বিদ্যমান নানা ভিটামিন ও মিনারেলস বা খনিজ পদার্থ স্বাস্থ্যের নানারকম উপকার সাধন করে। তাছাড়া কাঁঠালে রয়েছে আইসোফ্ল্যাভেনস, অ্যান্টিঅক্রিডেন্ট ও ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টসের আধিক্য যা মানব শরীরে ক্যান্সারের রোধ ও প্রতিরোধে ব্যাপক সহায়তা করে।

সেজন্য কাঁঠাল অপুষ্টিজনিত সমস্যা রাতকানা এবং রাতকানা থেকে অন্ধত্ব প্রতিরোধ করার জন্য খুবই উপযোগী ফল। শিশু, কিশোর, কিশোরী এবং পূর্ণ বয়সী নারী- পুরুষ সব শ্রেণীর জন্যই কাঁঠাল খুবই উপকারী ফল।গর্ভবতী এবং যে মা বুকের দুধ খাওয়ান তাদের জন্য কাঁঠাল দরকারি ফল। শরীরে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব দেখা দিলে ত্বক খসখসে হয়ে যায়। শরীরের লাভণ্যতা হারিয়ে ফেলে এজন্য কাঁঠাল প্রতিরোধ করতে পারে। এ ছাড়া কাঁঠালের মধ্যে ভিটামিন ‘সি’ এবং কিছুটা ‘বি’ আছে। পাকা কাঁঠাল যেমন উপকার রয়েছে, তেমনি কাঁচা কাঁঠালও কম উপকারী নয়। কাঁচা কাঁঠাল আমিষ ও ভিটামিনসমদ্ধ তরকরি। পাকা কাঁঠালের বিচি বাদামের মতো ভেজে যেমন খাওয়া যায়, তেমনি তরকারি হিসেবেও খাওয়া যায়। ১০০গ্রাম কাঁঠালের বিচিতে ৬.৬ গ্রাম আমিষ আছে ও ২৫.৮গ্রাম শর্করা আছে। সবার জন্যই আমিষসমদ্ধ কাঁঠালের বিচি উপকারী। এজন্য কাঁঠাল গাছ বেশি লাগানো উচিত। সেই সঙ্গে কাঁঠাল ফলটি খেয়ে ভিটামিন ‘এ’- এর ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।

আরও পড়ুন >>ডিমের বিকল্প হিসেবে কোন খাবারগুলো খাবেন?

কাঁঠাল এর ২০টি উপকারিতা তুলে ধরা হলো-

১। কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ নিতান্ত কম। এই ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশংকা কম।

২।  কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। যারা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ জন্যে কাঁঠালে উচ্চ রক্ত চাপের উপশম হয়।

৩।  কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ আছে, যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।

৪।  কাঁঠালের অন্যতম উপযোগিতা হল ভিটামিন সি। প্রাকৃতিকভাবে মানবদেহে ভিটামিন “সি” তৈরি হয় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে ভিটামিন “সি”।

৫।  কাঁঠালে বিদ্যমান ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস- আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম।

৬। কাঁঠালে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রির‌্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও আমাদেরকে সর্দি-কাশি রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

৭।  টেনশন এবং নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল বেশ কার্যকরী।

৮।বদহজম রোধ করে কাঁঠাল।

৯।  কাঁঠাল গাছের শেকড় হাঁপানী উপশম করে। শেকড় সেদ্ধ করলে যে উৎকৃষ্ট পুষ্টি উপাদান নিষ্কাশিত হয় তা হাঁপানীর প্রকোম নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।

১০।  চর্মরোগের সমস্যা সমাধানেও কাঁঠালের শেকড় কার্যকরী। জ্বর এবং ডায়রিয়া নিরাময় করে কাঁঠালের শেকড়।

১১।কাঁঠালে আছে বিপুল পরিমাণে খনিজ উপাদান ম্যাঙ্গানিজ যা রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

১২।কাঁঠালে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মত হাড়ের গঠন ও হাড় শক্তিশালী করণে ভূমিকা পালন করে।

১৩।কাঁঠালে আছে ভিটামিন বি৬ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

১৪।কাঁঠালে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম কেবল হাড়ের জন্য উপকারী নয় রক্ত সংকোচন প্রক্রিয়া সমাধানেও ভূমিকা রাখে।

১৫।ছয় মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ হয়। অন্যদিকে তার প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।

১৬।চিকিৎৎসা শাস্ত্র মতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী মহিলা ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়।

১৭।গর্ভবতী মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থসন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়।

১৮।দুগ্ধদানকারী মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

১৯।এই ফল আঁশালো বিধায় কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর করে।

২০।কাঁঠালে রয়েছে খনিজ উপাদান আয়রন যা দেহের রক্তাল্পতা দূর করে।

 

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

কাঠালিয়া বার্তা’য় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : মোবাইলঃ ০১৮৪২২৫৩১২২












All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana